কোন্নগর পৌরসভার পৌরপ্রধান স্বপন দাস বলেন, দেহ সৎকারের সময় যে দূষিত ধোঁয়া বাইরে সরাসরি গিয়ে বাতাসে মিশ্রিত হত, এই ক্ষেত্রে সেটি হবে না। এই পরিবেশ বান্ধব ইলেকট্রিক চুল্লিতে দেহ সৎকারের সময় যে ধোঁয়া নিষ্কাশন হবে, সেই ধোঁয়াই এবার ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের মাধ্যমে পরিশ্রুত করে চুঙ্গির মাধ্যমে উপরে উঠে যাবে। অন্যান্য বৈদ্যুতিক চুল্লির ক্ষেত্রে চুঙ্গির যে উচ্চতা থাকে, এক্ষেত্রে চুঙ্গির উচ্চতা অনেক বেশি তৈরি হয়েছে। ফলে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট থেকে বের হওয়া সাদা ধোঁয়া দূষণ মুক্ত হয়ে বাতাসে মিশবে। আগামী বছর চালু হয়ে যাবে এই শ্মশান ঘাটের বৈদ্যুতিক পরিবেশবান্ধব চুল্লি।
advertisement
আগে এই শ্মশান ঘাটে কাঠের আগুনে শবদাহ করা হত। পরিবেশ দূষণের জন্য তা বন্ধ হয়েছিল। এই পরিবেশ বান্ধব চুল্লি চালু হলে কোন্নগর পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ড-সহ কানাইপুর, নবগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েত ও ডানকুনি-সহ আশেপাশের এলাকা থেকে শবদেহ সৎকার করার সুবিধা পাবে।
উত্তরপাড়ার প্রাক্তন বিধায়ক তথা কোন্নগরের বাসিন্দা প্রবীর ঘোষাল বলেন, এটা অত্যন্ত একটা প্রয়োজনীয় জিনিস। যেটা কোন্নগর পুরসভা করছে। এর জন্য চেয়ারম্যান স্বপন দাস এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানাই। মুখ্যমন্ত্রী উন্নয়নের যজ্ঞের মধ্যে রয়েছেন। গত বছর কোন্নগর বইমেলায় এসে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলে গিয়েছিলেন। তারপর তিনি এর অনুমোদন দেন। এটা অত্যন্ত ভাল কাজ হয়েছে সাধারণ মানুষের জন্য। ধোঁয়া থেকে পরিবেশ দূষনের যে বিষয় থাকে সেটা থাকবে না এই আধুনিক চুল্লিতে।
আরও পড়ুনঃ অস্বাভাবিকভাবে ফুলে যাচ্ছে পেট, আর তারপরেই সব শেষ! কাঁকসায় গবাদি পশুদের রহস্যমৃত্যুতে আতঙ্ক
কোন্নগরের বাসিন্দা জয়ন্ত চক্রবর্তী বলেন, যারা কাঠে দাহ করতে চায় না তাদের উত্তরপাড়া বা রিষড়া যেতে হত। সেখানে শবদাহ বন্ধ থাকলে সমস্যায় পড়তে হত। কোন্নগরে চুল্লি হলে বহু মানুষের সুবিধা হবে।