বহরমপুরে সার্কিট হাউসে ফিরহাদ হাকিম জানান, “আজ অনেক পরিযায়ী শ্রমিক দক্ষিণ ভারতে রওনা দেন। মুর্শিদাবাদ জেলার হাতের কাজে যুক্ত শ্রমিকরাও যান দক্ষিণে। তবে আমরা খুব শিগগিরই পরিযায়ী শ্রমিকদের একটি ডাটা ব্যাঙ্ক তৈরি করতে চলেছি।” পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে সরকার উদ্যোগ নিচ্ছে বলেও জানান পুরমন্ত্রী।
advertisement
আরও পড়ুন: ‘পদত্যাগ করুন রেলমন্ত্রী…!’ এবার দাবি অন্দরেই! ‘বিজেপি’ নেতার বিস্ফোরক ট্যুইটে তোলপাড়
একইসঙ্গে তিনি বলেন, “এই রেল দুর্ঘটনা খুব মর্মান্তিক। কিন্তু কেন রেলের কবচ কাজে এল না সেটা স্পষ্ট নয় এখনও। ফিরহাদ হাকিম প্রশ্ন তোলেন, তাহলে কি ‘কবচ’ শুধুই প্রতিশ্রুতি? এখন সামনে নির্বাচন আসছে তাই ঘৃণ্য চক্রান্ত ঘটছে। পাশাপাশি ঘৃণ্য রাজনীতি করছেন বিজেপির সরকার। এই বলে এদিন মুর্শিদাবাদ থেকে কেন্দ্রকে তোপ দাগেন ফিরহাদ হাকিম।
আরও পড়ুন: দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছতেই হঠাৎ এই ‘দুই’ আধিকারিককে ফোন প্রধানমন্ত্রী মোদির! কেন? রইল আসল কারণ
শুক্রবার রাতে ওড়িশার বালাসোরে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় ইতিমধ্যেই মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে কমপক্ষে ৩০০। আহত হয়েছে ১০০০ এর কাছাকাছি মানুষ। প্রসঙ্গত, শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ ওড়িশার বালাসোর জেলায় শালিমার-চেন্নাই সেন্ট্রাল করমণ্ডল এক্সপ্রেস এবং বেঙ্গালুরু-হাওড়া এক্সপ্রেস ট্রেন দুটি লাইনচ্যুত হয়ে যায় এবং একটি ট্রেন একটি দাঁড়িয়ে থাকা মালগাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষের পরেই এই বীভৎস ভয়ানক দুর্ঘটনা ঘটে। এই দুর্ঘটনায়, ১৭টি কোচ লাইনচ্যুত এবং গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। শত শত যাত্রী আটক হয়ে পড়েন। লাফিয়ে বাড়তে থাকে নিহতের সংখ্যা।
জানা যায় ক্ষতিগ্রস্থ ট্রেনের যাত্রীদের বেশিরভাগই এই রাজ্যের বাসিন্দা। ভিনদেশে কাজ করতে যাওয়া এই পরিযায়ী শ্রমিকরাই মূলত ভয়ানক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন এই রেল দুর্ঘটনায়। যেই কামরাগুলি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তার যাত্রীদের একটি বড় অংশই ছিলেন এই রাজ্য থেকে দক্ষিণের রাজ্যে কাজের সন্ধানে যাওয়া পরিযায়ী শ্রমিক।