এলাকার বাসিন্দারা জানাচ্ছেন গতকাল রাতেই অন্ধকারে টিনের উপর কিছু একটা নড়াচড়া করতে দেখেন তারা ভেবেছিলেন পাখি বা অন্য কিছু হবে তবে সকাল হতেই প্রাথমিকভাবে তাদের মনে হয় একটি বিড়াল আটকে রয়েছে। এরপরেই হোক শান্তিপুর অগ্নি নির্বাপন কেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তারা। খবর পাওয়ার মাত্রই ছুটে আসে দমকলের কর্মীরা তবে উচ্চতা এতটাই বেশি যে তাদের মই সেখানে পৌঁছানো সম্ভব নয় অপরদিকে টিনের ছাদ এতটাই পিচ্ছিল সেখানেও যাওয়া যথেষ্ট বিপজ্জনক।
advertisement
আরও পড়ুন: যে মিঠুনকে নিয়ে এত কথা…এবার তারই মুখোমুখি হবেন কুণাল ঘোষ? রবিবারের দুপুরে কী হচ্ছে এমন?
এমতাবস্থায় তারা ওই বিল্ডিং কর্তৃপক্ষকে জানায় একটি অংশ কাটলে মিটবে সমস্যা। ওই টিনের ছাউনি করা মিস্ত্রিকে দেখে পাঠানো হয় তিনি এসে পরিস্থিতি দেখে নিজে হাতে উদ্ধারের ইচ্ছা প্রকাশ করেন, যদিও এ বিষয়ে দমকল কর্মীরা তাকে সমস্ত রকম সহযোগিতা করেন। তাদেরই দস্তানা ব্যবহার করে, ধরতে সক্ষম হন। যদিও উদ্ধার করার পর বোঝা যায় প্রাণীটি বন বিড়াল। পাশে ছোট একটি জঙ্গল থেকে ওই বিল্ডিংয়ে ঢোকার ছোট্ট একটি ফাঁক দিয়ে সে প্রায়শই হয়তো যাতায়াত করে বলে মনে করা হয়েছে তবে গতকাল দুর্ঘটনাবশত তার লেজ এবং পেছনের দুই পা টিনের ফাঁকে আটকে যায়।
যদিও বন্যপ্রাণী উদ্ধারের পর দমকল কর্মীরা সেখানেই তাকে ছেড়ে দিলে সে স্বাভাবিক বাসস্থান পাশের ওই কলা বাগানে চলে যায়। টিনের ছাদ মেরামতির ওই মিস্ত্রি এবং বন দফতরের কর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এলাকাবাসীরা বলেন একটি প্রাণ বাঁচানো সম্ভব হয়েছে এটাই বড় কথা।
অন্যদিকে কর্মীদের পক্ষ থেকে বিল্ডিং মালিককে জানানো হয়েছে তার আসা যাওয়ার পথ অবরুদ্ধ করে রাখতে। উদ্ধারকার্য দেখতে রাস্তায় পথ চলতি মানুষের এবং কচিকাঁচাদের ভিড় ছিল যথেষ্ট, তারাও শেষমেষ স্বস্তি প্রকাশ করে, কুর্নিশ জানায় সকলের মানবিক প্রচেষ্টাকে।





