এবার অধিকাংশ স্টলে গিটার, গদা, তরবারি, হ্যারি পটার, ক্রিকেট ব্যাট সহ নানা রকমের বাহারি বাজি বিক্রি হচ্ছে। এই বছর এই সমস্ত বাজি ক্রেতাদের নজর কাড়ছে বলে জানাচ্ছেন বিক্রেতারা।
advertisement
ব্যবসায়ীদের কথায় জানা যায়, বাজি মেলায় অসংখ্য বাজির সম্ভার রয়েছে। সেখানে সাধারণ প্রচলিত ভ্যারাইটিজ থেকে নতুন বিভিন্ন ধরনের বাজি রয়েছে। প্রচলিত বাজির সঙ্গে ক্রেতাদের প্রতিবছর নতুন স্টাইলের বাজির প্রতি আকর্ষণ থাকে। এবার বাজার দখল করেছে, গদা, গিটার, তরবারি বাজি। বাজি মেলার স্টলগুলিতে দুই টাকা, পাঁচ টাকা থেকে শুরু করে হাজার হাজার টাকার বাজি পাওয়া যাচ্ছে।
পরিবেশ দূষণের দিকে নজর রেখে প্রশাসনের পক্ষ থেকে গ্রিন বাজির উপর জোর দেওয়া হয়েছে। পরিবেশ দূষণকারী বাজি নিষিদ্ধ। সেই দিকে গুরুত্ব দিয়ে এই মেলায় কিউআর কোড যুক্ত সবুজ বাজি বিক্রি হচ্ছে। বাজির নিত্যনতুন ভ্যারাইটি এবং সরকার অনুমোদিত সবুজ বাজির টানে শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ক্রেতারা বাজি কিনতে মেলামুখী হচ্ছেন।
গত ১৪ অক্টোবর সাত দিনব্যাপী এই মেলার সূচনা হয়। শুরু থেকে সেভাবে ভিড় না থাকলেও বাজি কিনতে ক্রেতাদের আগ্রহ রয়েছে। কালীপুজোর এক-দু’দিন আগে বাজির মূল বেচাকেনা হয়। সেই মতোই অপেক্ষায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
মেলায় আসা এক ক্রেতা জানান, খোলা মার্কেটে পাওয়া বাজি সরকারি বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন চিহ্ন থেকে যায়। সেই কারণে বাজিমেলায় এসে বাজি কেনা। অন্য এক ক্রেতা জানান, বাজি মেলায় সারি সারি স্টল, প্রচুর বাজি রয়েছে। দেখে বুঝে কেনার সুযোগ থাকে। এখানে ভ্যারাইটি বাজির জন্যই আসা। প্রশাসনের নজরদারি এবং তত্ত্বাবধানে ৫০টি স্টল নিয়ে হাওড়া চ্যাটার্জিপাড়ায় বসেছে এবারের বাজি মেলা।