স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বহুদিন ধরে কারখানাটি বন্ধ হয়ে পড়ে আছে। এই পরিত্যক্ত কারখানায় কি উৎপাদন হত স্থানীয়রা কেউই বলতে পারছেন না। আগুন লাগার পর পাশের একটি ইট তৈরির কারখানার শ্রমিকরা প্রথমে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু আগুনের তীব্রতা বাড়তে থাকায় খবর দেওয়া হয় মেমারি দমকল বিভাগে।
আরও পড়ুন: পাম তেলের আমদানি শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের! কেমন প্রভাব পড়তে চলেছে ?
advertisement
দমকলের একটি ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। দমকল আধিকারিক সঞ্জয় কুমার দত্ত বলেন, কারখানার ভিতরে থাকা প্লাস্টিক জাতীয় জিনিসপত্রে আগুন লাগে। পাশাপাশি সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে ঝোপঝাড়ে। দমকলের একটি ইঞ্জিন আগুন নেভানোর কাজে ব্যবহার করা হয়। আর একটি পাম্প সেট দিয়েও পাশের পুকুর থেকে জল নিয়ে আগুন নেভানোর কাজে ব্যবহার করা হয়েছে। আগুন লাগার প্রকৃত কারণ খোঁজার চেষ্টা চলছে। কারখানার ভিতরে মজুদ দাহ্য পদার্থ থেকেই এই আগুন লেগেছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। ভিতরে কোন ইলেক্ট্রিকের শর্ট সার্কিট ছিল কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ২ টাকা পর্যন্ত কমতে পারে পেট্রোল-ডিজেল! কী প্ল্যান করছে সরকার
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কখন আগুন লেগেছিল তা জানা নেই। তবে ওই কারখানা থেকে প্রথমে ধোঁয়া বের হচ্ছিল। এরপর দাউ দাউ করে আগুনের শিখা বাইরে আসতে থাকে। পাশের ইঁটভাটার শ্রমিকরা জল ঢেলে সেই আগুন নেভানোর চেষ্টা করে।
এর পর এলাকার বাসিন্দারা তাদের সঙ্গে হাত লাগায়। কিন্তু তাদের পক্ষে এই আগুন নিয়ন্ত্রনে আনা সম্ভব হয়নি। দমকল বিভাগে খবর দেওয়া হয়। কিছুক্ষণ পর দমকল আসে। সেই দমকল কর্মীরাই আগুন নিয়ে আনে। কি করে আগুন লাগল, এর পেছনে কোনও অন্তর্ঘাত রয়েছে কিনা তা নিশ্চিত হতে পুলিশে দমকল বিভাগ তদন্ত করুক। ওই বন্ধ কারখানায় কি কি মজুত ছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।