বিগত বছরগুলিতে মূলত হলদিয়ায় বিভিন্ন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দেখা গিয়েছে অগ্নিদগ্ধ রোগীকে গ্রিন করিডর করে কলকাতা নিয়ে যেতে হয়েছিল। ফলে দীর্ঘ সময় লেগে যায়। তা থেকে নিস্তার পেতে হলদিয়া রিফাইনালির তরফ থেকে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়। হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে এই বার্ন ইউনিট ও আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরি হয়। তবে মহকুমা হাসপাতালের নতুন ভবন তৈরি না হওয়া পর্যন্ত এই বার্ন ইউনিটটিকে জরুরী ও পর্যবেক্ষণ বিভাগ হিসেবে ব্যবহার করা হবে বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর। বার্ন ও আইসোলেশন ওয়ার্ড উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ও ইন্ডিয়ান অয়েল হলদিয়া রিফাইনারির কর্তা ব্যক্তিরা।
advertisement
শিল্পশহর হলদিয়ায় এই বার্ন ইউনিট গড়ে ওঠার ফলে শিল্প শহরের শ্রমিকরা সুবিধা পাবেন।
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ বিভাস রায় বলেন, “সেপ্টেম্বরের পর নতুন ভবনটি আমাদের কাছে হস্তান্তর হয়ে যাবে। এরপর এই ভবনে একটি জরুরী এবং একটি পর্যবেক্ষণ বিভাগ থাকবে। সেখানে অগ্নিদগ্ধ রোগীদেরও চিকিৎসা দেওয়া হবে।এতদিন শিল্প শহরের কোন কারখানায় অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটলে তাম্রলিপ্ত গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতাল বা কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হত। অগ্নিদগ্ধ হয়ে যাওয়া রোগী চিকিৎসা শুরু হতে দেরিতে। এবার আর সেসব না এখানেই উন্নতমানের চিকিৎসা পরিষেবা পাবেন অগ্নিদগ্ধ রোগীরা।”
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে হলদিয়া পেট্রোর কেমিক্যালস এর ন্যাপথা ক্র্যাকার ইউনিটে আগুন লাগে, সেই সময় ওই বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে আহতদের গ্রিন করিডর করে দ্রুত কলকাতা স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। তারপরই শিল্পশহরে বার্ন ও আইসোলেশন পার করে তুলতে উদ্যোগ নেয় জেলা স্বাস্থ্য দফতর। এগিয়ে আসে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন। তাদের সামাজিক দায়বদ্ধতার প্রকল্প থেকে এই বার্ন ও আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরি হল।