এর আগে এই ওয়ার্ডে ২০১৯ সালে এক রোগীর শরীরে ফাইলেরিয়ার লক্ষণ দেখা গিয়েছিল। তখনও প্রত্যেক বাসিন্দাকে ওষুধ খাওয়ানো হয়েছিল। ম্যালেরিয়া বা ডেঙ্গির মতো ফাইলেরিয়াও একটি মশাবাহিত রোগ। এক্ষেত্রে দায়ী কিউলেক্স মশা। এর জেরে আক্রান্ত রোগীর পা ফুলে যায়। যাকে সহজ বাংলায় ‘গোদ’ বলা হয়। একবার গোদ হলে হাজারো চিকিৎসা করলেও পা আর আগের অবস্থায় ফেরে না। এক্ষেত্রে রোগী কখনও কখনও সারা জীবনের জন্য পঙ্গু হয়ে যেতে পারেন। এমনকি, সংক্রমণের আট থেকে দশ বছর পরেও শরীরে এর উপসর্গ ফুটে উঠতে পারে। তাই এই রোগ ঠেকাতে প্রতিরোধ একমাত্র উপায়।
advertisement
আরও পড়ুনঃ বেহাল রাস্তায় পিছলে পড়ছে বাইক থেকে মানুষ! ভুলেও জয়নগরের ‘এই’ পথ মাড়াবেন না
২১ অগাস্ট গণহারে ওষুধ খাওয়ানোর কর্মসূচির দিনক্ষণ নির্ধারিত হয়েছে। তারপর ২২ থেকে ৩০ অগাস্ট পর্যন্ত ট্যাবলেট হাতে বাড়ি বাড়ি যাবেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। তবে যাঁরা গর্ভবতী, শয্যাশায়ী বৃদ্ধ বা বৃদ্ধা ও দু’বছরের কম বয়সি শিশুদের এই তালিকার বাইরে রাখা হয়েছে। সব মিলিয়ে ওই ওয়ার্ডের ১৬ হাজার বাসিন্দাকে ফাইলেরিয়ার ওষুধ খাওয়ানো হবে বলে জানা গিয়েছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
তার জন্য বিভিন্ন স্তরে প্রচার এবং সচেতনতামূলক বার্তা দেবে স্বাস্থ্য বিভাগ। এত বছর বাদে আবার কীভাবে ধরা পড়ল ফাইলেরিয়া? সূত্রের খবর, বেশ কয়েকজন রোগীর রক্তের রিপোর্টে মাইক্রোফাইলেরিয়ার জীবাণুর সন্ধান মেলে। এরপর কিছু মশা ধরে পরীক্ষা করলে একই রিপোর্ট পাওয়া যায়। এর থেকেই স্বাস্থ্য অধিকারিকরা বুঝতে পারেন, এই অঞ্চলে ফাইলেরিয়ার সংক্রমণ ছড়ানোর প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের এক আধিকারিক বলেন, এখনই পদক্ষেপ করা দরকার। অন্যান্য ওয়ার্ডে এই জীবাণু ছড়িয়ে পড়লে তখন নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হতে পারে।