এই বছর আবহাওয়া অনেকটাই সহায়ক থাকায় দর্শনার্থীরা নির্বিঘ্নে মণ্ডপে মণ্ডপে ঘুরতে পারছেন। সকাল থেকেই দর্শনার্থীদের ঢল নামছে। বেলা গড়াতেই প্রতিটি পুজোমণ্ডপে জনসমাগমে উপচে পড়ছে। দাসপুরের রাজনগর স্কুলপাড়ায় রাজনগর ইয়ং সোসাইটির ৬২তম সর্বজনীন দুর্গোৎসব এবার দর্শকদের বিশেষ আকর্ষণ হয়ে উঠেছে। শুধুমাত্র স্থানীয় মানুষই নয়, আশেপাশের জেলা থেকে হাজার হাজার মানুষ এই মণ্ডপে ভিড় জমাচ্ছেন। মনোমুগ্ধকর সাজসজ্জা, আলো ঝলমলে পরিবেশ ও প্রতিমার অনন্য কারুকার্য মণ্ডপে পা রাখা মাত্রই দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করছে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ পুজোর মধ্যে মর্মান্তিক কাণ্ড! ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে পথ দুর্ঘটনায় যুবকের মৃত্যু, আহত ৫
পুজো কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই বছর মণ্ডপসজ্জা ও থিমে তাঁরা নতুনত্ব আনার চেষ্টা করেছেন। পাশাপাশি দর্শনার্থীদের সুবিধার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে। স্বেচ্ছাসেবক দল দিন-রাত সক্রিয়, আবার পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকেও ভিড় নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তায় নজরদারি করা হচ্ছে। ফলে ভিড় থাকলেও কোথাও বিশৃঙ্খলার পরিবেশ তৈরি হচ্ছে না।
রাজনগর ছাড়াও দাসপুর-ঘাটালজুড়ে একাধিক পুজো মণ্ডপ এই বছর অভিনব থিমের মাধ্যমে দর্শকদের চমকে দিচ্ছে। কোথাও মাটির ঘর, কোথাও বাংলার লোকজ ঐতিহ্য, কোথাও আবার আধুনিকতার ছোঁয়া- প্রতিটি মণ্ডপে একেকটি গল্প, একেকটি বার্তা থাকছে। প্রতিদিনই এই থিমপুজো ঘিরে ভিড় বাড়ছে ও দর্শনার্থীরা নতুন চমকের খোঁজে এক মণ্ডপ থেকে অন্য মণ্ডপে ছুটে বেড়াচ্ছেন।
শারদোৎসব ঘিরে দাসপুর-ঘাটাল এখন কার্যত এক উৎসবের মহাসমুদ্র। রাস্তাজুড়ে মানুষের ভিড়, মেলায় ভরা বাজার, ভুরিভোজের আয়োজন, চারিদিকে বাজছে ঢাকের আওয়াজ। একদিকে ঠাকুর দেখার ভিড়, অন্যদিকে আলোকসজ্জায় ঝলমলে গ্রাম-শহর মিলিয়ে গোটা অঞ্চল যেন আলোয় মোড়ানো এক স্বপ্নলোক।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
সব মিলিয়ে বলা যায়, এই বছরের দুর্গোৎসব দাসপুর-ঘাটালবাসীর কাছে হয়ে উঠেছে এক অনন্য অভিজ্ঞতা। মানুষে মানুষে মিলন, ধর্মীয় আবেগ, সংস্কৃতি ও আনন্দের এক অপূর্ব মেলবন্ধনই এই উৎসবকে দিয়েছে সম্পূর্ণতার ছোঁয়া।