৮৭ পুরুষ ধরে এই পটচিত্র বানিয়ে আসছেন বিষ্ণুপুর পৌর শহরের ফৌজদার পরিবার। এখন বর্তমানে শীতল ফৌজদার নামে এই শিল্পী পটচিত্র বানাচ্ছেন। শিল্পী তাঁর কাকার কাছ থেকে পট চিত্রের কাজ শিখেছিলেন। তিনিও তার ভাইপোদের এই শিল্পের কাজ শেখাচ্ছেন। বিশেষ করে আগামী দিনে এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখার জন্য তৈরি করছেন তাদেরকে। যদিও এই শিল্পে এই প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা আর আসতে চাইছে না। তাহলেও এই শিল্পকে তো টিকিয়ে রাখতে হবে। সেই জন্যই ভাইপোদের শেখাচ্ছেন এই পটচিত্র।
advertisement
বিষ্ণুপুর পৌর শহরের এই পট শিল্পী ১৬টা প্রতিমার বরাত পেয়েছেন। প্রত্যেক বছরের মতো রীতিনীতি মেনে মল্ল রাজাদের বড় ঠাকুরণ, মেজ ঠাকুরণ ও ছোট ঠাকুরণের পটের প্রতিমা বানিয়েছেন। সুদূর কলকাতাতেও পাড়ি দিয়েছে, এই শিল্পীর হাতে তৈরি পটের প্রতিমা। এছাড়াও বাঁকুড়ার বিভিন্ন জায়গাতেও এই পটের তৈরি প্রতিমা পাড়ি দিয়েছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
কীভাবে তৈরি হয় পটের প্রতিমা?
এই পটচিত্রগুলি বানানোর জন্য শিল্পী সর্বপ্রথম বাজার থেকে নতুন সাদা, সুতির কাপড় কিনে আনেন। সেগুলি সাইজ করে কেটে নেন। এরপর, খড়িমাটি ও তেঁতুল বীজের আঠা-সহ বেশ কিছু ন্যাচারাল আঠা দিয়ে কিছু কাপড়কে একসঙ্গে চিটিয়ে পেপার প্রস্তুত করেন। এরপরই শীতল বাবুর নিপুণ সুক্ষ হাতের ছোঁয়ায় রঙ তুলি দিয়ে ফুটিয়ে তোলেন মা দুর্গার প্রতিমা। এই পটশিল্প বিষ্ণুপুরের এক ঐতিহ্য, যা এখনও টিকিয়ে রেখেছেন এই শিল্পী।