মেয়েকে এই অবস্থায় দেখে নির্যাতিতার মা চিৎকার চেঁচামচি করেন। তবে নির্যাতিতার বাবা তথা অভিযুক্ত স্বাভাবিকই ছিলেন। উল্টে স্ত্রীকে বলেন, পুলিশ ডেকে দরকার নেই, হাসপাতাল নিয়ে গেলে ফেঁসে যাব। একথা শুনে নির্যাতিতার মা চিৎকার শুরু করেন এবং প্রতিবেশীদের জানান। এরপর নির্যাতিতাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুনঃ দিনের বেলায় রাতের অন্ধকার, ‘ভূতুড়ে ঘরে’ই রান্না হচ্ছে শিশুদের মিড ডে মিল!
advertisement
আদালত সূত্রে জানা যাচ্ছে, নির্যাতিতার ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা যায়, তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। সেই সঙ্গেই সামনে আসে, খুনের আগে নির্যাতিতার ধর্ষণের কথা। এরপর ১৪ তারিখ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশ তদন্ত শেষ করে চার্জশিট দাখিল করে। এই ঘটনার প্রায় ১৫ মাসের মধ্যে ফাঁসির সাজা ঘোষণা করল আদালত।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
আসানসোল এক্সক্লুসিভ পকসো আদালতের বিচারক সুপর্ণা বন্দ্যোপাধ্যায় এই রায় ঘোষণা করলেন। স্পেশ্যাল পাবলিক প্রসিকিউটার সোমনাথ চট্টরাজ বলেন, সেকশন ৬এ অনুযায়ী ফাঁসির সাজা ঘোষণা করা হয়। তিনি বলেন, সম্ভবত আসানসোল আদালতে এই প্রথম কোনও ফাঁসির সাজা ঘোষণা করা হল।