বৃহস্পতিবার সকালেও মোবাইলে ফোন করা হলে অন্যদিকে বাজে মোবাইলের রিং। তার কিছুক্ষণ পরেই পরিবারের কাছে এই দুঃসংবাদ আসে। তাই মৃতের পরিবারের আশঙ্কা খুন করা হয়েছে শ্বশুর ও জামাইকে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে রানীগঞ্জ থানার পুলিশ। এটি দুর্ঘটনা কিনা, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: বাংলার স্বাস্থ্যক্ষেত্রে বড় ঘোষণা চিকিৎসক দেবী শেঠির! সুফল পাবেন অগণিত মানুষ
advertisement
প্রসঙ্গত, গত দুদিন আগে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন কাকা শ্বশুর ও জামাই। কিন্তু আর বাড়ি ফিরে আসেনি তাঁরা। বিষয়টি রানীগঞ্জ থানার পুলিশকেও জানানো হয়। খোঁজ শুরু করে পুলিশ। এরপরই মেলে দুজনের মৃতদেহ। দেহগুলি পুলিশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত করার জন্য আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠায়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। অন্যদিকে একই পরিবারের দুই সদস্যের মৃত্যুর ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকায়।
আরও পড়ুন: 'মনে কষ্ট নিয়ে ঘরে বসে আছেন', বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ! কোন প্রসঙ্গে বললেন এমন কথা?
এদিকে, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, ঘটনায় চাঞ্চল্য এলাকায়। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগর থানার দুই নম্বর ওয়ার্ডের দেবীনগর এলাকায়। বুধবার রাতে বাড়িতে পরীক্ষার্থী কাজল ভৌমিক একাই ছিলেন, বাবা পেশাগত কারণে বাইরে ছিলেন এবং মেয়েকে বাড়িতে একা রেখে মা বাড়ির কাজে হাবড়া গিয়েছিলেন। মেয়ে কাজল ভৌমিকের সঙ্গে প্রতিবেশী আকাশ দাস নামে এক যুবকের ভালোবাসার সম্পর্ক ছিল, এমনটাই জানিয়েছেন ছাত্রীর মা। বুধবার সন্ধ্যায় সেই যুবক তাদের বাড়িতে এসেছিলেন এবং তার সঙ্গে অশান্তি হয়েছিল মেয়ের। পরবর্তীতে আকাশ দাস কাজলের মাকে ফোন করে জানায় তার সঙ্গে কাজলের অশান্তি হয়েছে। এরপরই তিনি বাড়িতে এসে দেখেন, সিলিংয়ের সঙ্গে ওড়না দিয়ে গলায় প্যাঁচ লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে কাজল। খবর দেওয়া হয় অশোকনগর থানায়। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায় অশোকনগর হাসপাতলে। আকাশ দাসের সঙ্গে অশান্তির জন্যই মেয়ে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে, অভিযোগ মৃত ছাত্রীর মায়ের।