এদিকে, নদীয়ার চাকদহ, কল্যাণী ও হরিণঘাটা ব্লকে সারা বছর প্রায় ফুলকপি-বাঁধাকপি চাষ হয়। নদীয়ার ১৮টি ব্লকের মধ্যে বেশিরভাগ ব্লকেই সবজি চাষ হয় সারা বছর। এরমধ্যে চাকদহ, হরিণঘাটা ও কল্যাণী ব্লক কপি চাষে বিখ্যাত। এখানকার ফুলকপি ও বাঁধাকপি রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের পাশাপাশি রাজ্যের বাইরেও পৌঁছে যায়।
বছরে সব ঋতুতেই এই সমস্ত এলাকায় ফুলকপি ও বাঁধাকপি চাষ হয়।
advertisement
তবে এই বছর প্রচণ্ড তাপদাহে ক্ষতির মুখে কপি চাষ। জমিতেই নষ্ট হচ্ছে ফুলকপি ও বাঁধাকপি। পাশাপাশি বীজের গুণগত মান ও সারের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় আরও ক্ষতির মুখে পড়েছে কৃষকরা। এমনকি খরচ বেড়েছে সেচের।
অনেক কৃষক মাঠের মধ্যেই নষ্ট করে দিচ্ছে ফুলকপি। কারণ প্রচন্ড তাপদাহ ও বীজের সমস্যার জন্য জমিতেই নষ্ট হয়ে গেছে ফুলকপি। ফলে আর্থিক সমস্যার মুখে কৃষকরা। আবহাওয়া ও অন্যান্য সমস্যার জন্য অনেক কৃষক এই বছর অফ সিজিওনাল কপি চাষ থেকে বিরত থেকেছেন।
আরও পড়ুন: সকাল-সকাল পাথরপ্রতিমায় এক যুবককে ঘিরে শোরগোল, সকলের চোখ উপরের দিকে! কেন?
কৃষি বিশেষজ্ঞের মত, বিকালে জমিতে জল দিতে হবে। কোনও ফার্টিলাইজার গাছে দেওয়া যাবে না। বায়ো এনজাইম ব্যবহার করতে হবে। এখন গরম সহ্য করার মতো ভ্যারাইটি বেরিয়েছে ফুলকপি ও বাঁধাকপির। কিন্তু সেটি ৩০ থেকে ৩২ ডিগ্রি তাপমাত্রা সহ্য করতে পারে। ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রা সহ্য করতে পারে না।