#দেগঙ্গা: তীব্র দাবদাহে দেগঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রার্থনার লাইনে দাঁড়িয়ে তিন ছাত্র অসুস্থ হয়ে পড়ল। শিক্ষকরা তড়িঘড়ি তাদের উদ্ধার করে দেগঙ্গা বিশ্বনাথপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসেন। সেখানেই তাদের স্যালাইন চলছে। বিশ্বনাথপুর হাসপাতাল ডাক্তারদের মতে প্রচণ্ড গরমে এই তিন শিশু অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাদের স্যালাইন দেওয়া হয়েছে। ডিহাইড্রেশনের জন্যই এই শিশুগুলি অসুস্থ হয়েছে। এমনটিই বলছেন ডাক্তাররা। শিশুদের পরিবারের দাবি এইভাবে গরমে আসার জন্যই তাদের বাচ্চারা অসুস্থ হয়েছে।
এদিকে, প্রচন্ড তাপপ্রবাহে রাজ্যে বাড়ছে বিদ্যুতের চাহিদা। রাজ্যে সর্বাধিক বিদ্যুতের চাহিদা ৭৫০০ মেগাওয়াট। সাম্প্রতিক কয়েক বছরের মধ্যে এপ্রিলে এই পরিমাণ চাহিদা হয়নি। ২০২১ সালে এপ্রিলে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়বে ৭২৪৫ মেগাওয়াট। বিদ্যুৎ ভবন সূত্রে এমনই খবর। অথচ সিইএসসি এলাকায় এই মুহূর্তে বিদ্যুতের চাহিদা ২৩৩০ মেগাওয়াট। এপ্রিল মাসে সিইএসসি এলাকায় এটি রেকর্ড বলে জানা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: সকাল-সকাল পাথরপ্রতিমায় এক যুবককে ঘিরে শোরগোল, সকলের চোখ উপরের দিকে! কেন?
সিইএসসি-র বক্তব্য, তাদের এলাকায় এখনও কোনও লোডশেডিং নেই। টেকনিক্যাল কারণে অল্প সময়ে কোথাও কোথাও পাওয়ার ট্রিপ করতে হয়েছে। রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদের এলাকায় অবশ্য লোডশেডিংয়ের অভিযোগ এসেছে। যদিও কলকাতা সন্নিহিত বেশ কিছু এলাকায় অভিযোগ এসেছে। শহর কলকাতা সন্নিহিত গড়িয়া, রাজপুর, সোনারপুর, সুভাষগ্রাম এলাকায় মাঝে মধ্যেই বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হচ্ছে বলে অভিযোগ। এই সব এলাকা WBSEDCL নিয়ন্ত্রিত।
আরও পড়ুন: বিয়ের প্রস্তাবে না, গৃহবধূর গলা কেটে হলদি নদীতে ফেলেছিল প্রেমিকই! খুনের কিনারা করল পুলিশ
এদিকে, রাজধানী দিল্লি, হরিয়ানা, পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের আশপাশের এলাকায় সোমবার সন্ধ্যায় পশ্চিমি ঝঞ্ঝার কারণে হিটওয়েভে কিছুটা মুক্তি পাওয়া গিয়েছিল, কিন্তু সকাল হতেই সেই শান্তির পরিবেশ উধাও৷ মৌসম বিভাগের খবর অনুযায়ী, বুধবার থেকে রাজস্থান , মধ্যপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, গুজরাতে লু -এর পরিস্থিতি জারি থাকবে৷ শনিবার অবধি এই পুরো উত্তর ও উত্তরপশ্চিম ভারতে তাপপ্রবাহ জারি থাকবে৷
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: West Bengal news