গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক তৈলবীজ ফসল হিসেবে পরিচিত চিনাবাদাম। এই ফসলের বীজে প্রায় ৪৫-৫০% তেল এবং প্রায় ২৫% প্রোটিন থাকে। এটি একটি লাভজনক ফসল। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা চিনাবাদাম চাষে অনেকটাই এগিয়ে। এক দশক আগেও পূর্ব মেদিনীপুরের কৃষকরা আমন ধানের পর প্রধানত বোরো ধান চাষ করতেন। কিন্তু বর্তমানে বোরো ধানের বিকল্প হিসেবে বিভিন্ন ব্লকে চিনাবাদাম চাষ হচ্ছে। জেলায় চিনাবাদাম চাষের জমির পরিমাণ ক্রমে বাড়ছে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ ঘরে বসে আয় হবে লাখ লাখ টাকা! অল্প খরচেই নিজের বাড়িতেই করুন এই চাষ
কৃষি দফতর থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ২০১৮-১৯ সালে ১৭ হাজার ১২০ হেক্টর জমিতে চিনাবাদাম চাষ হয়েছিল। ২০২৪-২৫ সালে তা বেড়ে হয় ২০ হাজার ৩৭০ হেক্টর জমি। প্রতি বছর চিনাবাদাম চাষের জমির পরিমাণ বাড়ছে।
এতদিন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কৃষকদের চিনাবাদাম চাষের জন্য বাইরে থেকে ১২০-১৪০ টাকা কিলো দরে বীজ বাদাম কিনতে হত। ফলে চাষ করে লাভের পরিমাণ কম থাকত। তবে জেলার ছ’জন কৃষক গুজরাটে গিয়ে কীভাবে উন্নত মানের বীজ উৎপাদন করা যায় সেই প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছেন।
গুজরাটের জুনাগড়ে ভারতীয় কৃষি গবেষণা পরিষদে চিনাবাদামের বীজ তৈরির প্রশিক্ষণের পাশাপাশি, কৃষি পদ্ধতি, ফসল সংগ্রহ এবং সেগুলি সংরক্ষণের ব্যবস্থা ও মূল্য সংযোজনের কৌশল শেখানো হয় চাষিদের। বীজ বপন, আগাছা নিয়ন্ত্রণ ও ফসল সংগ্রহে আধুনিক যন্ত্রের ব্যবহারও শিখেছেন তাঁরা।
এই বিষয়ে সুদীপ বলেন, ‘পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা-১, এগরা-২, পটাশপুর-১. পটাশপুর-২, পাঁশকুড়া ও কোলাঘাট ব্লকে ব্যাপক হারে চিনাবাদামের চাষ হয়। ২০২৪-২৫ সালে জেলায় ২০,৩৭০ হেক্টর জমিতে চিনাবাদামের চাষ হয়েছিল। কিন্তু রাজ্যে কোথাও চিনাবাদামের বীজ তৈরি না হওয়ায় চাষের খরচ অনেকটাই বেড়ে যায়। এদিকে বাজারে চিনাবাদামের চাহিদা রয়েছে। সেই কারণেই জেলার ছ’জন কৃষককে গুজরাটে নিয়ে গিয়ে চিনাবাদামের বীজ তৈরির প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। কৃষকেরা নিজেরা বীজ তৈরি করতে পারলে চাষের খরচ অনেকটাই কমবে। আবার বীজ বিক্রি করে কৃষকরা লাভবানও হবেন।’
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
বর্তমানে বাজারে কুইন্টাল প্রতি চিনাবাদামের দাম ৪৭০০-৫০০০ টাকা। উন্নত মানের চিনাবাদাম চাষ করতে পারলে তা লাভজনক হতে পারে। কিন্তু এর জন্য সবার আগে বীজ উৎপাদনে স্বনির্ভর হওয়া জরুরি বলে মনে করে জেলা কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র। সেই উদ্যোগই নিল তাঁরা।





