আরও পড়ুন- মেয়েটির প্রেমে পড়েছিল সাপ? ৫ বছরে ১১ বার কামড়! শেষে যা জানা গেল…শিউরে উঠবেন
১৩ অক্টোবর, বিজয়া দশমী। ওই দিনই ঘটেছিল এই নারকীয় ঘটনা। জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার ফরাক্কা থানা এলাকায় দশ বছরের এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুন করার অভিযোগ ওঠে দীনবন্ধু হালদার (৪৬) এবং শুভজিৎ হালদারের (২৩) বিরুদ্ধে। তদন্তে জানা যায়, ফুল দেওয়ার নাম করে মেয়েটিকে নিজের ঘরে নিয়ে যায় দীনবন্ধু। সেখানে সে এবং শুভজিৎ মিলে নির্মম যৌন নির্যাতন চালায় মেয়েটির উপর। তার পর শ্বাসরোধ করে খুন করে নাবালিকাকে। সেই ঘটনারই তদন্ত শুরু হয় যুদ্ধকালীন তৎপরতায়। জঙ্গিপুরের পুলিশ সুপার আনন্দ রায়ের নেতৃত্বে গঠিত হয় স্পেশ্যাল ইনভেস্টিগেশন টিম। ১৫ অক্টোবর গ্রেফতার করা হয় দুই অভিযুক্তকে। যাবতীয় তথ্যপ্রমাণ একত্রিত করে মাত্র ২১ দিনের মধ্যে আদালতে জমা দেওয়া হয় চার্জশিট। তার পরে, বৃহস্পতিবার ঘটনার ঠিক ৬২ দিনের মাথায় দুই অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করেন বিচারক।
advertisement
আরও পড়ুন- সস্তার এই ‘পাতা’র হাজার গুণ! মোমের মতো চর্বি গলে, পালায় ক্যানসার! দূরে থাকে ‘স্ট্রেস’
ঘটনায় বিচারব্যবস্থা ও রাজ্যপুলিশের তৎপরতাকে প্রশংসা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে বলেছেন, “প্রত্যেক ধর্ষকের এমন কঠোর সাজাই প্রাপ্য।”
শুক্রবার সাজা ঘোষণা করা হয়েছে। এত দ্রুত ও তৎপর তদন্ত এবং সেই সঙ্গেই নাতিদীর্ঘ বিচার শেষে সাজা ঘোষণা—ভারতীয় বিচারব্যবস্থায় বিরলই বলা চলে। এর আগে সারা দেশেই এই ধরনের বহু মামলার দীর্ঘসূত্রিতা বারবার সমালোচনার মুখে পড়েছে। এমনকি গোটা দেশকে নাড়িয়ে দেওয়া নির্ভয়া কাণ্ডের সময়েও ‘তারিখ পে তারিখ’ ঘোষণার ক্ষোভ মানুষের মুখে মুখে ঘুরত। তবে এত দ্রুত এই রায়দান পেতেই খুশি সকলেই।