গতকাল হুগলি স্টেশন রোডে এস কে বৈদ্য নামে এক হাতুরে চিকিৎসকের চেম্বারে গিয়েছিলেন কৃষ্ণ কর্মকার। প্রৌঢ়ের স্ত্রী জানান,হালকা জ্বর হয়েছিল,পায়ে টান ধরছিল,শ্বাসকষ্টও হচ্ছিল তাই ডাক্তারের কাছে নিয়ে গিয়েছিলাম। শ্বাসকষ্টের জন্য ইনহেলার দেওয়ার কথা বললে ডাক্তার পরপর পাঁচটা ইঞ্জেকশন দেন। পাঁচ মিনিটের মধ্যে সব শেষ হয়ে যায়।
ডাক্তার নিজেই অটো ডেকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। ইমামবাড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয়। ডাক্তার চেম্বার বন্ধ করে চলে যান। তারপর থেকে তাকে ফোনে পাওয়া যাচ্ছে না৷ ডাক্তারের এমবিবিএস ডিগ্রী বা কোনও রেজিস্ট্রেশন নেই সেটা জানতাম না।পাড়ার একজন বলেছিল তাই ওনার কাছে নিয়ে গিয়েছিলাম, ‘সব শেষ হয়ে গেল’ জানালেন মৃতের স্ত্রী রাধারানী কর্মকার।
advertisement
প্রৌঢ়ের ছেলে রৌনক কর্মকার বলেন,আমরা স্বাস্থ্য দফতরে অভিযোগ জানাব। আমার বাবার সঙ্গে যেটা হয়েছে আর কারোর সঙ্গে যাতে না হয়। হুগলী স্টেশন রোডে যেখানে চেম্বার করেন ওই ডাক্তার তার প্রতিবেশী এক ব্যবসায়ী বলেন,দীর্ঘ প্রায় ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে এলাকায় ডাক্তারি করছেন উনি।গতকাল ওই রোগী যখন এসেছিল তখন নিজে হাঁটাচলা করছিলেন। তারপর কি হল তড়িঘড়ি চেম্বার বন্ধ করে দিয়ে চলে গেলেন ডাক্তার।
আগে একটি ওষুধের দোকানে চেম্বার করতেন।এখন নিজেই আলাদা একটি চেম্বার খুলেছেন। ছাপানো প্যাডে না সাদা কাগজে স্ট্যাম্প মেরে প্রেসক্রিপশন লেখেন ডাক্তার। সেখানে কোথায় কোথায় কোন কোন সময় রোগী দেখেন তার বিবরণ দেওয়া। প্রেসক্রিপশন এর মাথায় লেখা জেনারেল ফিজিশিয়ান। মৃতের পরিবার অভিযোগ পাঁচটা ইঞ্জেকশন দেওয়াতেই মৃত্যু হয়েছে।এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া নেওয়ার জন্য ফোন করলে ওই ডাক্তারের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পুরো ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকায়৷
সোমনাথ ঘোষ