সেই রকমই বারুইপুরের রায়চৌধুরী বাড়ির রথ দেখতে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দর্শনার্থী ও পুণ্যার্থীরা ছুটে আসেন। ঠিক তেমনই ছুটে আসেন বহু দোকানদার। তাঁরা এই মেলায় বংশপরম্পরায় দোকান দিতে ছুটে আসেন।
শুধু এই জেলাতে নয়। তাঁরা আশেপাশে অন্য জেলা থেকেও এই মেলাতে দোকান দিতে ছুটে আসেন। ৩৫০ বছরের রথের মেলায় বাবা কাকার হাত ধরে আজও মেলাতে আসতো দোকান দিতে আসেন। দূর দুরান্ত থেকে মানুষ আসেন বিক্রি করার জন্য। কেনার জন্য ভিড় পড়ে যায় ক্রেতাদের।
advertisement
আরও পড়ুন : স্বর্ণালঙ্কারে সম্পূর্ণ আবৃত থাকবে প্রতিমা, রথযাত্রায় জাঁকজমক করে হল কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর খুঁটিপুজো
এই রথ উৎসবকে ঘিরে এক মাস ধরে মেলা বসে। মেলায় বিক্রি হরেক রকমের বিভিন্ন মিষ্টি। আর এই মেলাতে দেখা গিয়েছে অনেক পরিবার আছে যাঁরা বংশপরম্পরায় মেলায় দোকান দিয়ে আসছে। এটি একটি ঐতিহ্য যা বহু বছর ধরে চলে আসছে। অনেক পরিবার তাদের জীবিকা নির্বাহের জন্য মেলার উপর নির্ভরশীল এবং তারা তাদের পূর্বপুরুষদের ব্যবসা ধরে রেখেছে। কিছু পরিবার মিষ্টির দোকান, খেলনার দোকান, অথবা কারুশিল্পের দোকান চালায় যা তাদের পরিবারের ঐতিহ্য। এই দোকানগুলি সাধারণত মেলায় নিয়মিতভাবে দেখা যায়। আর এভাবে তাঁরা প্রতিবছরই বারুইপুর চৌধুরী বাড়ি রথের মেলাতে পেটের টানে প্রতি বছর মেলায় ছুটে আসে।