পাহাড়ে নয়। বর্ধমানে বসেই মিলছে কালিম্পংয়ের অনুভূতি। সকাল সকাল জানালা খুলে কেদারায় বসে বাইরে তাকালে মেঘাচ্ছন্ন পাহাড়ি দৃশ্য মনে হচ্ছে। আসলে বর্ধমানের সকাল কুয়াশাচ্ছন্ন। দৃশ্যমান্যতা পাহাড়ের সকালের মতোই। আর শীতের দাপট কালিম্পংকেও পিছনে ফেলে দিয়েছে। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তৈরি হচ্ছে মিম।
নতুন বছরের গোড়া থেকেই হাড় কাঁপানো শীত বর্ধমানে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, দিন চারেক আগেও বর্ধমানের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪-১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে ঘোরাঘুরি করছিল। পয়লা জানুয়ারি থেকে তাপমাত্রা হু হু করে কমতে শুরু করে। এখন তা নেমে গিয়েছে আট ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে।
advertisement
আরও পড়ুন: দেশের সবচেয়ে আলোচিত জেল, সেই তিহারেই অভিযান চালিয়ে চক্ষু চড়কগাছ পুলিশের!
এই নিয়েই মিম পোস্ট হচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে। রসিকতা করে কেউ কেউ সামাজিক মাধ্যমে বর্ধমানে বরফ পড়ার ছবি পোস্ট করছেন। কেউ আবার শহরের কার্জন গেট চত্বরে বরফের উপর দিয়ে পেঙ্গুইন জল ঘুরে বেড়াচ্ছে এমন মিমিও পোস্ট করেছেন। তবে সব মিলিয়ে শীতের আমেজ উপভোগ করছেন শহরবাসী। তাঁরা বলছেন, সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত চায়ের দোকানে আড্ডা জমছে। হাতে গরম চায়ের ভাঁড় আসতে অনেক সময় লাগছে। ফি বছর গরমেও নাকাল হয় বর্ধমান। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি- ও পেরিয়ে যায় কখনও। তা নিয়েও সোশ্যাল মিডিয়া ছেয়ে যায় মিমে। এবার মিম তৈরি হল শীতকে ঘিরে।
আরও পড়ুন: 'ওঁর কথায় কেউ আস্থা রাখে? বিশ্বাস করে?', বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ, নিশানা করলেন কাকে?
পারদ-পতনে অবশ্য অস্বাভাবিক কিছু দেখছে না জেলা কৃষি দফতর। তাদের বক্তব্য, প্রত্যেক বছরই শীতের কয়েকটি দিন এ ভাবেই দ্রুত তাপমাত্র নামে। কিছুদিন তা স্থায়ী হয়। গত কয়েক বছর ধরেই এই প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। জেলা সহ-কৃষি অধিকর্তা আশিস বারুই বলেন, স্বাভাবিক ঠান্ডা পড়েছে। কুয়াশা থাকছে। এই ঠান্ডা আলুচাষের পক্ষে ভাল। তবে ধসা রোগ নিয়ে চাষিদের সতর্ক করা হচ্ছে।