বর্ধমান শহরের নতুন গঞ্জের পাশিখানা এলাকায় একটি গোডাউনে হানা দিয়ে নামি কোম্পানির প্রচুর পরিমাণ নকল মোবিল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ওই গোডাউনে নামি কোম্পানির প্রচুর পরিমাণ নকল মোবিল রাখা ছিল। জেলা দুর্নীতি দমন শাখা এই অভিযান চালায়। এই ঘটনায় এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতের নাম মহম্মদ জামিল আহমেদ। ধৃত ওই ব্যক্তি শহরের পীর বাহারাম ডাঙাপাড়া এলাকার বাসিন্দা। ধৃতকে সোমবার বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয়। তাকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর হয়েছে। ১৯ সেপ্টেম্বর ধৃতকে ফের আদালতে পেশের নির্দেশ দেন সিজেএম চন্দা হাসমত।
advertisement
আরও পড়ুন- ‘সপ্তপদী রিভিজিটেড...’, রিনা ব্রাউনের কথা মনে করালেন শুভেন্দু...এমনটা কেন বললেন কুণাল?
দুর্নীতি দমন শাখা সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই গোডাউন থেকে থেকে ১১০ লিটার নকল মোবিল, ১৪৫টি জার, ৩৭৫টি কন্টেনার, তেল মাপার পাত্র উদ্ধার হয়েছে। গোডাউনে থাকা মোবিল মজুতের বৈধ কোনও কাগজপত্র দেখাতে পারেননি ওই ব্যক্তি। অভিযানে অংশ নেওয়া আধিকারিকরা জানিয়েছেন, পাশিখানার একটি গোডাউনে দীর্ঘদিন ধরে একটি নামি সংস্থার নকল মোবিল মজুত করে বিক্রি করা হচ্ছিল। সংস্থার তরফে বিষয়টি দুর্নীতি দমন শাখাকে জানানো হয়। এরপর দুর্নীতি দমন শাখার একটি টিম গোডাউনটিতে অভিযান চালায়।
আরও পড়ুন-দৃষ্টিশক্তির উপহার ভীষণই দামি! যত্নে থাকুক দুই চোখ, কীভাবে বলছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক
তদন্তকারী অফিসাররা জানিয়েছেন, কীভাবে ওই মোবিল তৈরি করা হচ্ছিল তা জানার চেষ্টা চলছে। কম দামি মোবিলের সঙ্গে অন্য কিছু মিশিয়ে তা ভাল কোম্পানির লেভেল লাগানো পাত্রে ভরে বিক্রি করা অভিযোগও রয়েছে। কতদিন ধরে এই কারবার চলছিল তাও জানার চেষ্টা চলছে। শুধু পূর্ব বর্ধমান জেলা নয়, পাশের হুগলি, বাঁকুড়া, বীরভূম জেলাতেও ওই মোবিল পাঠানো হতো বলে প্রাথমিকভাবে খবর পাওয়া গেছে। এই চক্রের সঙ্গে আর কারা কারা জড়িত, তাও জানার চেষ্টা চলছে।