ঘটনাটি ঘটে ধামাখালি ফেরিঘাট সংলগ্ন হোটেলে ২০৬ নম্বর ঘরে। ঘরে ডিমের কার্টুনের ভেতর টাকা লুকিয়ে রাখা ছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ তল্লাশি চালায় এই বিপুল পরিমাণ অর্থ উদ্ধার করে। উদ্ধার হওয়া টাকা গুণতে রাত পেরিয়ে যায়, এখনও পর্যন্ত গণনা চলেছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে একজন দেবব্রত চক্রবর্তী, দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলার বাসিন্দা। অপরজন সিরাজউদ্দিন মোল্লা, জীবনতলার মোটর দীঘির বাসিন্দা। তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ সন্দেশখালির বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চালাচ্ছে। অনুমান, আরও বেশ কিছু জায়গায় জাল নোট মজুত থাকতে পারে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ কোটি কোটি ভক্তদের জন্য দুঃসংবাদ! ‘কিং’-এর শ্যুটিং ফ্লোরে আহত শাহরুখ খান, আমেরিকায় চলছে চিকিৎসা
জানা গিয়েছে, এই হোটেলটি এক সময় আলোচিত নেতা শেখ শাহাজাহান ও শিবু হাজরার দখলে ছিল। বর্তমানে হোটেলের মালিক শেখ শাহাজাহানের ঘনিষ্ঠ বাপ্পাদিত্য মণ্ডল। এত বিপুল পরিমাণে জাল নোট কোথা থেকে এল, বা তা কোথায় পাঠানোর পরিকল্পনা ছিল কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তদন্ত প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হলে, তা জানা যাবে বলে দাবি বসিরহাটের পুলিশ সুপার হোসেন মেহেদি রহমানের। ঘটনায় সন্দেশখালি-সহ আশেপাশের এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশের টিম এখনও তল্লাশি চালাচ্ছে। সবমিলিয়ে, আবারও একবার আলোচনায় এল ধামাখালি ও তার রাজনৈতিক সংযোগ।