আল্লারাখা বলেন, “দু’মাস হল আমি বাড়ি ফিরেছি। আমার শাশুড়িরা আমার কাছে কিছু টাকা পেত, আমি মিটিয়ে দেব বলেছিলাম। কিন্তু আমি ফিরে যেন অপরাধ করেছি! এখন আমার স্ত্রী আমার সঙ্গে কোনও সম্পর্ক রাখছে না, এমনকি আমাকে ও আমার আত্মীয়দের হোয়াটসঅ্যাপ থেকেও ব্লক করেছে।” তাঁর আরও অভিযোগ, “সকালে আমার বউয়ের সঙ্গে যখন দেখা হয়, ওকে বলেছিলাম, ‘দু’মাস তো হয়ে গেল, এখন কী করবে?’ তখন সে জানায়, ‘তাঁর কিছু মত নেই।’ আমি বলেছিলাম, ‘যদি আমার ঘরে থাকতে চাও, তাহলে বউ হিসেবে থাকতে হবে, বাইরে কাজ করা চলবে না।’ এই কথা বলার পরই নামাজ পড়তে চলে যাই।
advertisement
আল্লারাখার দাবি, আমার বাড়ি এবং আমার শ্বশুরবাড়ি একদম কাছাকাছি। নামাজ পড়ে আসার পথে হঠাৎই বউ আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে শুরু করে। স্বামী-স্ত্রী মধ্যে কথা হতে হতে আচমকাই শাশুড়ি চলে আসে, শাবল দিয়ে মাথায় আঘাত করে। তখনই রক্ত ঝরতে শুরু করে, মাথায় চারটে সেলাই পড়েছে।” আল্লারাখার দাবি, তাঁকে কাটারি নিয়েও মারার চেষ্টা হয়। আল্লারাখার স্ত্রী শাবানা খাতুন একটি কম্পিউটার সেন্টারে কাজ করেন এবং ফেসবুকে প্রায়ই লাইভ করেন। তাঁর কথায়, ‘সব ঝামেলার মূলেই ফেসবুক।’
অন্যদিকে, স্ত্রী শাবানা খাতুনের পাল্টা অভিযোগ, “ফেসবুক করার জন্য আমাকে বারণ করেছিল, তাই মা ওকে মেরেছে এটা পুরোপুরি মিথ্যা কথা। আসল সমস্যা টাকার! ও আমার কাছ থেকে সোনাদানা আর লক্ষাধিক টাকা নিয়েছে। বলেছিল আমার নামে জায়গা কিনবে, কিন্তু সবটাই মিথ্যা। আজকে উল্টে আমার মা’কে গলা টিপে ধরেছিল। ওর মাথা আমি বা আমার মা ফাটাইনি, ও নিজেই সাইকেলের প্যাডেলে ঠুকে মাথা ফাটিয়েছে।” এই ঘটনায় গুসকরা ফাঁড়িতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন আল্লারাখা শেখ। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।