পুলিশ সূত্রে জানা যায় মৃত যুবকের বাড়ি সুতাহাটা থানা এলাকায়। ওই যুবকের সঙ্গে পাশের বাড়ির বৌদির পাপিয়া দাস (নাম পরিবর্তিত) সম্পর্ক ছিল। তাঁর বাপের বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর থানায়। এই অবৈধ প্রেমের সম্পর্ক চরম পরিণতি পায়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে আরও জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে ওই যুবকের সঙ্গে বৌদির ভালবাসার সম্পর্ক। এই নিয়ে বেশ কয়েকবার সালিশি সভাও বসেছে।
advertisement
জানা যায় বৃহস্পতিবার রাত্রি দেড়টার পর ওই বিবাহিত মহিলা পাপিয়া দাস যুবকের বাড়িতে যায়। যুবককে বিয়ে করার জন্য চাপ দিতে থাকে। তা নিয়ে শুরু হয় গোলমাল বচসা। গন্ডগোল চরম পর্যায়ে পৌঁছয়। তখন ওই বিবাহিত মহিলা ব্লেড দিয়ে তার নিজের হাত কাটে। তারপর শুক্রবার বাড়ির মধ্যে যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
জানা যায়, কয়েক মাস ধরে গ্রামের এই বিবাহিত মহিলার সঙ্গে যুবক পরকীয়ায় লিপ্ত ছিল। ঘটনার সূত্রপাত মহিলাটি ঘর ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়ার পরিস্থিতি থেকে শুরু হয়। হঠাৎ জানা জানি হয়ে যায় গ্রামবাসীদের কাছে। এই ঘটনায় একটি শালিসি সভা হয়। শুক্রবার সকালে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হয়ে যাওয়ার কারণেই বিশ্বজিৎ জানা নিজ গৃহে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে বলে অভিযোগ। মৃত যুবকের ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোট পাওয়া যায়। যুবক লিখেছেন 'আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী বিবাহিত মহিলা ও তার পরিবার। মৃত যুবকের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে অভিযোগ দায়ের করেছে।
সৈকত শী