মাস কয়েক আগেই নদিয়ার বগুলার মিলননগরের বাসিন্দা মঙ্গল তালুকদার স্থানীয় রক্ষা সমাজ কল্যাণ মহিলা সমিতির কাছে জানান তাঁর স্ত্রী, চামেলি ৩০ বছরের এক যুবকের সঙ্গে পালিয়ে যান। এরপরেই ওই সমিতি বছর পঁয়তাল্লিশের ওই গৃহবধূকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে উদ্যোগী হয়। পাশাপাশি, তিনি যে যুবকের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছিলেন তাঁর বাড়িতেও গিয়ে খোঁজখবর নেওয়া শুরু হয়। জানা যায় তাঁরা গুজরাতে রয়েছেন। ওই মহিলা পালিয়ে যাওয়ার সময়ে নগদ ৮০ হাজার টাকা-সহ কিছু গয়নাও সঙ্গে নিয়ে যান বলে অভিযোগ ওঠে। এদিকে, ওই মহিলার এক মেয়ে এবং ছেলে রয়েছে। মেয়েটি দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ে।
advertisement
এরপরে ওই গৃহবধূ এবং তাঁর প্রেমিক গত চৈত্র মাসেই ফের ফিরে আসেন। শেষমেশ পুলিশের দ্বারস্থ হয়ে স্ত্রীকে বাড়তেও ফিরিয়ে নিয়ে আসেন মঙ্গলবাবু। কিন্তু, বাড়িতে ফিরে আসার পর থেকেই পুরনো সংসারে থাকতে নারাজ চামেলি দেবী। অন্যদিকে তাঁর ছেলে এবং মেয়ে এমনকি, মঙ্গলবাবুর বৃদ্ধা মা-ও চামেলি দেবীর সঙ্গে আর থাকতে চান না।
একমাত্র মঙ্গলবাবুই তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে থাকতে চেয়েছেন। এমনকি, কেউ মেনে না নিলে তিনি বাড়ি ভাড়া করে স্ত্রীর সঙ্গে অন্যত্র থাকতে চান বলেও জানিয়েছেন। এমতাবস্থায়, চামেলি দেবী কেন তাঁর পুরোনো সংসারে থাকতে চান না এই প্রশ্নের উত্তরে গৃহবধূ সটান জানিয়ে দেন যে “ভাল লাগে না, তাই থাকব না”।
তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা একাধিক অভিযোগকেও অস্বীকার করেছেন ওই গৃহবধূ। তবে, তাঁর প্রতিবেশীরা চামেলি দেবীর তীব্র সমালোচনা করেছেন। শুধু তাই নয়, তিনি যে এর আগেও একাধিকবার বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছেন সেই বিষয়টিও জানিয়েছেন তাঁরা। এদিকে, পুরো ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রক্ষা সমাজ কল্যাণ মহিলা সমিতির তরফে জানানো হয়েছে, ওই মহিলাকে বাড়িতে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরপরে মঙ্গলবাবু তাঁর সঙ্গে থাকবেন কি না সেটা সম্পূর্ণ তাঁর ব্যাপার। ওদিকে মঙ্গলবাবু পড়েছেন বেজায় ফাঁপরে। একদিকে 'পলাতকা' স্ত্রী তো অন্যদিকে ছেলে-মেয়ে-মা! সমাধান খুঁজতে মরিয়া চামেলীর স্বামী।