আরও পড়ুন- ভক্তের ঢল! দিনে ভিক্ষুক এই ‘বাবা’, রাত হলেই…! ৩২ বছরের ভুল, অবশেষে পুলিশের জালে!
রবীন্দ্রনাথ সমন্বয় বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেড নামক একটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর তরফে এই খাবার হোটেল পরিচালনা করা হয়। নির্দিষ্ট স্বনির্ভর গোষ্ঠীর প্রেসিডেন্ট মৌসুমি চট্টোপাধ্যায় বলেন, \”আমরা মহিলা হয়েও পিছিয়ে নেই। কোনও কাজকে আমরা ছোট বলে মনে করিনা। আমরা মেয়েরাই এখানে সবকিছু করি। মাসে ভাল টাকা উপার্জন হয়। ভবিষ্যতে এই হোটেল আরও বড় করার চিন্তাভাবনা রয়েছে।\” রাজ্য সরকারের উদ্যোগে ২০১৭ সাল থেকে গুসকরা শহরের মধ্যে মহিলা পরিচালিত এই হোটেল চলছে। হোটেলটির নাম রয়েছে খাদ্য ছায়া। বর্তমানে এখানে প্রায় ৮ জন মহিলা রয়েছেন।
advertisement
আরও পড়ুন- ১৫০ কেজির সাপ! দুপুর হলেই রোদে এসে প্রেম করত এই ‘অজগর জুটি’? তার পর যা হল…!
বাড়ির যাবতীয় কাজ সামলানোর পরে তারপর আবার হোটেল পরিচালনা করেন তারা। সারাদিন ধরে চলে অক্লান্ত পরিশ্রম। মাছ, মাংস,ডিম থেকে শুরু করে আরও বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা থাকে ক্রেতাদের জন্য। স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্র সহ আরও বেশ কিছু জায়গায় তারা খাবারও দিয়ে থাকেন। সবমিলিয়ে এই স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারাই রমরমিয়ে চালাচ্ছেন খাবার হোটেল। এই বিষয়ে আউশগ্রাম ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তাপস চট্টোপাধ্যায় বলেন, \”রাজ্য সরকারের উদ্যোগে মহিলাদের কথা ভেবে এটা করা হয়েছিল। মহিলারাও উপার্জন করছেন, সংসার চালাচ্ছেন। এটা রাজ্য সরকারের খুবই ভাল একটা উদ্যোগ।\”
দৈনিক সকাল ১০ টা থেকে রাত্রি ৯-১০ পর্যন্ত খোলা থাকে এই হোটেল। এই মহিলারা এখানে কাজ করেই কিছুটা অর্থ উপার্জন করেন। সকাল থেকে অক্লান্ত পরিশ্রমের পর সাধারণ মানুষকে পরিবেশন করেন ভাল মানের খাবার। মহিলা হয়েও কোনও অংশে পিছিয়ে নেই। পুরুষদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে জনা কয়েক মহিলা মিলেই চালাচ্ছেন আস্ত একটা খাবার হোটেল।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী