তবে শুধু প্রতিমা গড়াই নয়, প্রতিমাকে সাজানোর ক্ষেত্রেও নিজের প্রতিভার পরিচয় দিয়েছে অনিমেষ। এবারের প্রতিমাটি সাজানো হয়েছে ডাকের সাজে। সোনালি কাগজ, রঙিন কাগজ আর নানারকম উপকরণ দিয়ে একেবারে নিজের হাতে সাজিয়েছে দেবী দুর্গাকে। প্রতিমার চোখ আঁকা থেকে শুরু করে রঙ করা, সবটাই করেছে একা হাতে। মাটি, রঙ, সাজসজ্জা প্রতিটি খুঁটিনাটিতেই মিশে আছে তার ভালোবাসা।
advertisement
আরও পড়ুনঃ সমাজের ‘স্তম্ভ’ তো তাঁরাই, দুর্গাপুজোয় নারীশক্তির উদযাপন! এই মণ্ডপের দর্শন মিস করবেন না
অনিমেষ জানিয়েছে, ‘আমি নিজেই এই প্রতিমা বানিয়েছি। কোনও জায়গায় কাজ শিখিনি তবে মাঝে মধ্যে ভিডিও দেখেছি। ঠাকুরের সাজটাও আমার নিজের তৈরি করা’। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হল, অনিমেষ এই কাজ কোথাও গিয়ে শেখেনি। তার পরিবারে আগে কখনও কেউ মাটির কাজ বা প্রতিমা তৈরির সঙ্গে যুক্ত ছিল না। তবুও তার হাতের নিপুণ কারুকার্য দেখে অভিভাবকেরাও হতবাক। তারা গর্বিত যে পরিবারের ছোট ছেলে নিজের একান্ত আগ্রহ ও প্রতিভার জোরে এমন এক শিল্পের পথে এগিয়ে চলেছে।
আরও পড়ুনঃ শতাব্দী প্রাচীন এক প্রথায় সেজে উঠছে হাওড়ার মহিলা পরিচালিত ‘এই’ মণ্ডপ, থিমের ভিড়ে মিস যেন না হয়
অনিমেষের মা অনিতা কর্মকার বলেন, ‘ছেলের কাজে প্রথমে গুরুত্ব দিতাম না। তবে এখন আমাদেরও ভাল লাগে। এই প্রতিমা রাত জেগে কাজ করে ও বানিয়েছে। ভবিষ্যতে ও যদি এই আর্ট নিয়ে এগিয়ে যেতে চায় তাহলে আমরা ওর পাশে থাকব’। গত বছরেও দুর্গা প্রতিমা বানিয়েছিল অনিমেষ। তবে এবারের প্রতিমাটি আগের চেয়ে অনেক বেশি সুন্দর, নিখুঁত আর আকর্ষণীয়। এহেন চেষ্টায় যেন ধীরে ধীরে জন্ম নিচ্ছে এক নতুন শিল্পী।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
অনিমেষ এখন অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। পড়াশোনার পাশাপাশি এই বিশেষ প্রতিভা তাকে সমবয়সীদের ভিড় থেকে আলাদা করে তুলেছে। মাটি দিয়ে প্রতিমা বানানো আজ তার শখ হলেও, আগামী দিনে সে এই প্রতিভাকেই জীবনের বড় স্বপ্ন হিসেবে গড়ে তুলতে চায়। ছোট্ট অনিমেষের নিষ্ঠা, পরিশ্রম আর সৃজনশীলতা নিঃসন্দেহে অনুপ্রেরণা হয়ে উঠতে পারে অনেকের কাছে।