রায়না ১ নং ব্লকের মুগরা গ্রাম পঞ্চায়েতের দাস পাড়া। আনগুনা গ্রামের ভিতর দিয়ে কয়েকশো মিটার যাওয়ার পরই দাসপাড়ায় পৌঁছনো যায়। প্রতিবছর বর্ষাতে গ্রামের প্রধান রাস্তা যেমন জলমগ্ন হয়ে উঠে, তেমনি বাড়িতে জল ঢুকে যাওয়ার ফলে আরও দুর্ভোগ বাড়ে স্থানীয়দের।
আরও পড়ুন: লর্ড কার্জনের মন জয় থেকে GI ট্যাগ, সীতাভোগ-মিহিদানার ইতিহাস জানলে গর্বে বুক ফুলবে আপনারও
advertisement
স্থানীয়দের অভিযোগ, বর্ষা আসলেই তাঁরা শঙ্কায় থাকেন। কিন্তু এ বছরে লাগাতার বৃষ্টি হওয়ায় সমস্যা বেড়েছে আরও। গত কয়েকদিন ধরেই লাগাতার বৃষ্টির ফলে এলাকায় জল জমেছে। ইতিমধ্যেই গ্রামে ঢোকার প্রধান রাস্তা যেমন জলমগ্ন, তেমনি বাড়িতে জল ঢুকে গিয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, দাসপাড়ায় প্রায় ১৫০ থেকে ২০০ টি পরিবার রয়েছে। গ্রামে ঢোকার প্রধান রাস্তা চলে গিয়েছে জলের তলায়। প্রায় এক হাঁটু জল পেরিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে গ্রামবাসীদের। এমনকি রাস্তায় ওপর দিয়ে জল যাওয়ায় স্কুল যেতে পারছে না পড়ুয়ারা। ফলে আপাতত স্থগিত রাখতে হয়েছে আনগুনা বি.এম হাই স্কুলের পরীক্ষাও।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
আনগুনা বি.এম হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন, বৃষ্টির ফলে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে রাস্তা। প্রধান রাস্তার ওপর দিয়ে বইছে মাঠের জল। ফলে জল পেরিয়ে স্কুলে আসতে পারছে না অধিকাংশ ছাত্র-ছাত্রী। এদিন থেকে পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই পরীক্ষাও আপাতত স্থগিত রাখার সিদ্ধান্তই নেওয়া হয়েছে। জল কমলে পরবর্তীতে পরীক্ষার তারিখ ঠিক করা হবে।
আপাতত, জল কমার অপেক্ষায় দিন গুনছেন রায়না ১ নম্বর ব্লকের আনগুনা দাসপাড়ার বাসিন্দারা। তাঁদের একটাই প্রশ্ন, আর কতদিন এভাবে বর্ষার দুর্ভোগ পোহাতে হবে?
সায়নী সরকার