পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ড. সুনীল কুমার দাস কলকাতার হেয়ার স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। প্রধান শিক্ষক থাকাকালীন ২০১৯ সালের ৫ সেপ্টেম্বর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় তাঁর হাতে শিক্ষারত্ন পুরস্কার তুলে দেন। এমনকি সরকারী ও বেসরকারী তরফে শিক্ষক হিসাবে আরও বহু সম্মান তিনি পেয়েছেন। এর পর ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসেই তিনি অবসর নেন। অভিযোগ পরিবারের একমাত্র রোজগেরে হওয়া সত্ত্বেও অবসরের পর লাগাতার ৩ বছর ধরে বিকাশভবন ও নিজের স্কুলে যাতায়াত করলেও মেলেনি পেনশন। এর পরই তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন ও আত্মঘাতী হন।
advertisement
আরও পড়ুন: বোলপুর পৌঁছেই তৎপর CBI, অনুব্রতর CA-কে জিজ্ঞাসাবাদ, তলব ২ ব্যাঙ্ক আধিকারিককে
আরও পড়ুন: আজই অনুব্রতর মেয়ে, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টকে জেরা! বোলপুরে যাচ্ছে সিবিআই
মেমারী থানার পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। এদিকে পেনশন না পাওয়ায় রাজ্যসরকারের তরফে শিক্ষারত্ন পাওয়া শিক্ষকের মৃত্যুর ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর। বিজেপির বক্তব্য, এক প্রবীণ ব্যক্তিকে মাসের পর মাস বিকাশ ভবন যেতে হয়েছে। সেখান থেকে প্রতি বারই তাঁকে ব্যর্থ মনোরথে ফিরে আসতে হয়েছে। সেই অপমান তিনি আর সহ্য করতে পারেননি। তাই স্বাধীনতা দিবসের পর পরই তিনি আত্মহত্যা পথ বেছে নিলেন। তৃণমূল কংগ্রেসের বক্তব্য, কেন তিনি পেনশন পাননি বা কেন তিনি আত্মহত্যা করলেন তা নিশ্চয়ই প্রশাসন খতিয়ে দেখবে।
শরদিন্দু ঘোষ