বর্তমানে জলমগ্ন কালনা শহরের ভবা পাগলার মন্দির ও সমাধি স্থল। কালনার ভবা পাগলার মন্দির ও সমাধিস্থল পর্যটকদের কাছে এক বিশেষ আকর্ষণীয় স্থান। কিন্তু বর্তমানে সেখানে অপরিষ্কার জল পেরিয়েই মন্দিরে প্রবেশ করতে হচ্ছে স্থানীয় মানুষ ও দর্শনার্থীদের। এই প্রসঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দা বাসুদেব চক্রবর্তী জানান, প্রতিবছরই আমরা এই অবস্থার মধ্যে এসে পড়ি। এর জন্য কেউ কোনও ভূমিকা নিচ্ছে না। পাশেই আমার বাড়ি। আমার বাড়ি জলের তলায়। সাত দিন ধরে আমি বাড়ি ছাড়া। পঞ্চায়েতের কারোর কোনও দেখা নেই। কেউ কোনও সাহায্য করছে না। সাত দিন ধরে আমরা এই পরিস্থিতির মধ্যেই দিন কাটাচ্ছি। নিজেরা চেষ্টা করে যতটা পারছি জল সরিয়ে দিচ্ছি।
advertisement
আরও পড়ুন: অটোকে ধাক্কা মেরে ধান ক্ষেতে উল্টে গেল সরকারি বাস, আহত ১৫ যাত্রী
কালনা শহরে অবস্থিত এই মন্দিরটি দেখতে অগণিত দর্শনার্থীরা আসেন প্রতিদিন। নর্দমার নোংরা জল পেরিয়ে মন্দিরে প্রবেশ করতে হওয়ায় ক্ষুব্ধ দর্শনার্থী থেকে শুরু করে স্থানীয় মানুষ সকলেই। গত প্রায় আট দিন যাবৎ জল জমে ঐতিহ্যবাহী এই মন্দিরে। পাশাপাশি, দিন কয়েক আগের ভারী বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়ে এই মন্দির সংলগ্ন বেশ কিছু বাড়িও। স্থানীয়দের কথায়, বারংবার পঞ্চায়েতকে জানিয়েও কোনও ফল হয়নি।
এই অভিযোগ প্রসঙ্গে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান বলেন, যদি কেউ বলে থাকে পঞ্চায়েত এই ব্যাপারে উদাসীন তাহলে সে মিথ্যে কথা বলেছেন। তার কারণ যেদিন থেকে ওই জায়গায় জল জমেছে সেদিন থেকে এখনও পর্যন্ত পাম্পের মাধ্যমে আমরা জল বের করে দেওয়ার চেষ্টা করছি। যারা অভিযোগ করছে সম্পূর্ণ ফালতু অভিযোগ। ওই জায়গার সমস্যা আজকের নয়, দীর্ঘদিনের সমস্যা।
প্রসঙ্গত এক সপ্তাহ আগের মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়ে পূর্ব বর্ধমান তথা কালনার একাধিক জায়গা। জল জমে যায় রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে বাজার, বাড়ি, মন্দির সর্বত্রই । জল জমেছিল কালনার অন্যতম ঐতিহ্যবাহী রাজবাড়ি কমপ্লেক্সের কিছু মন্দিরেও। সেরকমই এখনও জলমগ্ন ভবা পাগলার মন্দির ও সমাধিস্থল চত্বর। পর্যাপ্ত নিকাশি ব্যবস্থার অভাবেই এই পরিস্থিতি বলে মত স্থানীয়দের। আপাতত, দ্রুত এই সমস্যার সমাধানের আশায় এলাকাবাসী থেকে দর্শনার্থী প্রত্যেকেই।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী