পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মহিষাদলের বাসিন্দা বিশ্বজিৎ দাস। বয়স হয়েছিল ২১ বছর। অন্য দিকে নন্দকুমার থানায় এলাকার চুনাখালির বছর ১৮ -র গায়ত্রী বর্মনের সঙ্গে পরিচয় হয় প্রায় তিন বছর আগে জনপ্রিয় সোশ্যাল মাধ্যমে। এই পরিচয় ভালবাসার সম্পর্কে আবদ্ধ হয়।
advertisement
বিশ্বজিৎ মহিষাদল থানার বামনপুর গ্রামের বাসিন্দা। পেশায় ফুলের কারিগর। কর্মসূত্রে বছরের বেশিরভাগ সময় থাকেন মুম্বইয়ে। বর্ষার সময়ে কাজ কম থাকায় বাড়ি এসেছিল। অন্যদিকে গায়ত্রী স্থানীয় একটি স্কুলের একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী। একই সময়ে দু’জনের বাড়ি থেকে এই দুই প্রেমিক যুগলের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। আর তাতেই রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
বিশ্বজিতের পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, তাদের ছেলের সঙ্গে নন্দকুমার চুনাখালি এলাকার গায়ত্রী বর্মনের পরিচয় ছিল। এই ভালবাসার সম্পর্ক দুই পরিবারে মেনে নিয়ে বিয়ের ঠিক হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে মেয়ের পরিবার এই বিয়ে মানতে পারছে না। তাই মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে বিশ্বজিৎ। তার ফলেই এই চরম সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অন্যদিকে দায়িত্বের মা জানিয়েছেন, ‘মেয়ের ভালবাসার সম্পর্ককে তাঁরা পূর্ণ মর্যাদা দিতে চেয়েছিলেন। সেই মতো বিয়ের দিন কোন ঠিক হয়। কিন্তু তারপর এই সিদ্ধান্ত মেয়ে কেন নিল বুঝতে পারছেন না।’
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ময়না তদন্তের পর মৃতদেহ দু’টি প্রেমিক ও প্রেমিকার বাড়ির লোকের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। একই দিনে এই প্রেমিক যুগল কেন চরম সিদ্ধান্ত নিল তা নিয়ে তদন্ত চলছে। দুজনেরই আত্মহত্যা করার মত চরম সিদ্ধান্ত কেন বেছে নিল তার কারণ স্পষ্ট নয়। প্রয়োজনে উভয় পরিবারের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।
সৈকত শী