TRENDING:

Traditional Durga Puja: ওয়ারেন হেস্টিংসের আমলের টাকির গুরু বাড়ির পুজো আজও নজর কাড়ে 

Last Updated:

Traditional Durga Puja: ইংরেজ শাসন কালে ওয়ারেন হেস্টিংসের সময় বাদুড়িয়ার বাজিতপুর গ্রামে এক বিধ্বংসী বন্যা হয়। সেই বন্যায় ভিটেবাড়ি ছাড়া হন সেই গ্রামের পুরোহিত হরিরামকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় অবশেষে ভিটেবাটি হারিয়ে, তিনি চলে আসেন টাকিতে

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
উত্তর ২৪ পরগনা: ওয়ারেন হেস্টিংসের আমলে সন্ধিক্ষণের ডাকে পুজো সম্পন্ন হতো টাকির গুরু বাড়িতে। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ইছামতি নদীর কোলে ছোট্ট এক চিলতে শহর টাকি। রায়চৌধুরী, মুন্সি, পুব, উত্তর ও দক্ষিণ সহ একাধিক জমিদার বাড়ি রয়েছে এই প্রাচীন টাকি শহরে। বেশিরভাগ জমিদার বাড়িতেই আড়াইশো থেকে তিনশো বছর ধরে সাড়ম্বরে পালিত হয়ে আসছে মৃন্ময়ীর আরাধনা। তার মধ্যে অন্যতম হলটাকি জোড়া মন্দির পাড়ার মুখোপাধ্যায় পরিবারের পুজো।
advertisement

১২০৮ বঙ্গাব্দে অর্থাৎ ভারতে  ইংরেজ শাসন কালে ওয়ারেন হেস্টিংসের সময় বাদুড়িয়ার বাজিতপুর গ্রামে এক বিধ্বংসী বন্যা হয়। সেই বন্যায় ভিটেবাড়ি ছাড়া হন সেই গ্রামের পুরোহিত হরিরামকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় অবশেষে ভিটেবাটি হারিয়ে, তিনি চলে আসেন টাকিতে।

আরও পড়ুন: শব্দকে ব্রহ্মজ্ঞান করে তোপধ্বনি, বিষ্ণুপুরে শুরু মল্লরাজাদের কুলদেবীর আরাধনা

তারপর সেই সময়কার টাকির জমিদারদের সহায়তায় চালু করেন অকাল বোধন। সেই শুরু, তারপরে কেটে গিয়েছে প্রায় আড়াইশোরও বেশি বছর। তবুও এখনো স্বমহিমায় পালিত হচ্ছে টাকি মুখার্জি পরিবারের দুর্গার আরাধনা। এই পুজোটি আরো বিখ্যাত হয়ে পড়ে যখন এই পূজার জন্য ডাকের সাহায্য নেওয়া হতো। কি সেই ডাক? সপ্তমী থেকে অষ্টমী ও অষ্টমী শেষে নবমীর সন্ধিক্ষণে সন্ধি পূজা হতো এই মুখার্জি বাড়িতে। প্রচলন ছিল আগে গুরুবাড়ির পুজো হবে তারপর একে একে অন্যান্য জমিদারদের বাড়িতে শুরু হবে সন্ধিপুজো। কিন্তু আজ থেকে প্রায় দ্বিশত বছর আগে তো আর ইন্টারনেট তথা ফোনের সংযোগ ছিল না তো মানুষ কি করে জানবেন যে গুরু বাড়ির পুজো শুরু হয়েছে? সেই কথা মাথায় রেখে চালু হলো সন্ধিক্ষণে ডাকের প্রচলন। তৎকালীন জমিদারদের অধীনস্ত সৈয়দপুর, হাসনাবাদ, থুবা ও আমলানি সহ একাধিক গ্রামের প্রজারা সারিবদ্ধ ভাবে এক হাত অন্তর গুরু বাড়ি থেকে রায়চৌধুরীদের দক্ষিণের বাড়ি অবধি দাঁড়িয়ে থাকতো। এবং যেইমাত্র সন্ধিপূজা শুরু হতো তখন একে একে পুজো পুজো পুজো বলে ডাক দেওয়া হতো।

advertisement

View More

তারপর সেই বার্তা পৌঁছে যেত অন্য বাড়িতে। ঠিক একই রকম ভাবে বলির সময়ও, যখন গুরু বাড়িতে বলি শুরু হতো তারপরে বলি বলি বলি করে ডাক দেওয়া হতো। তারপর অন্য বাড়িতে বার্তা পৌছলে সেখানে বলি হতো। আর তার থেকেই শুরু হলো সন্ধিক্ষণে ও বলির সময় ডাকের প্রচলন। কালের নিয়মে জমিদারিত্ব উধাও হওয়ার ফলে প্রজার প্রচলনও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তাই প্রজারা এখন আর সারিবদ্ধ ভাবে রাস্তায় জড়ো হন না। ফলে মলিন হয়ে গিয়েছে ডাক প্রথা। কিন্তু থেমে যায়নি টাকির এই মুখার্জি গুরু বাড়ির পুজোর ঐতিহ্য। এখনো এই পুজোয় সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমীতে ভোগের ব্যবস্থা করা হয়। বিশেষ করে অষ্টমীর ভোগ খেতে এখানে ভিড় জমান স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে বসিরহাট, বারাসাত ও কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের পর্যটক থেকে শুরু করে পূর্ণ্যার্থীরা। যা যথেষ্টই গর্বের এক অধ্যায় এই মুখার্জি পরিবারের কাছে।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
নিভিয়ে দেওয়া হয় গোটা গ্রামের আলো! 'জয় মা কালী' ধ্বনিতে মশালের আলোয়...!
আরও দেখুন

জুলফিকার মোল্লা

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Traditional Durga Puja: ওয়ারেন হেস্টিংসের আমলের টাকির গুরু বাড়ির পুজো আজও নজর কাড়ে 
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল