শাবকটির উপযুক্ত ব্যবস্থা করতে, খবর দেন পরিবেশ কর্মী অনির্বাণ সেনাপতিকে। অনির্বাণের মাধ্যমে বন্যপ্রাণ সংরক্ষনকারী চিত্রক প্রামানিকের কাছে খবর পৌঁছয়। খবর পেয়ে চিত্রক প্রামানিক ও সুমন্ত দাস ঘটনাস্থলে যান। তাঁরা দেখেন বাঘরোল শাবকটি ভীষন ছোটো। এলাকার লোকজন বন বিভাগে দেওয়ার কথা বললে তাঁরা বোঝান, সুস্থ বাঘরোলকে এলাকা থেকে সরিয়ে দিলে স্থানীয় বাস্তুতন্ত্রের ক্ষতি হবে এবং ছানাটি মা কে ছাড়া বাঁচবে না।
advertisement
আরও পড়ুন: গঙ্গাধরপুরের গাজন উৎসবে ধর্ম দেবতার আরাধনা
বন বিভাগের রেঞ্জ অফিসার রাজেশ মুখার্জীর পরামর্শ মত এরপর চিত্রক, সুমন্ত – মোজামুদ্দিন ও ফিরোজ’কে নিয়ে রাতেই এলাকা পর্যবেক্ষন করেন। কিছুক্ষণ পর মা বাঘরোল’কে দেখা যায়। এরপর বাঘরোল শাবক টিকে মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। কয়েক ঘন্টা অপেক্ষার পর সফল ভাবে বাঘরোল শাবকটিকে মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়। এ প্রসঙ্গে চিত্রক প্রামানিক বলেন, সুস্থ স্বাভাবিক বন্যপ্রান’কে ধরে বন বিভাগে দেওয়া সংরক্ষন নয়।
“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন“
বন্যপ্রানকে তার নিজের আবাসস্থলে থাকার পুনরায় ব্যবস্থা করতে পারলে, তবেই সেই এলাকার বাস্তুতন্ত্র ঠিক থাকবে। তিনি আরও বলেন বাঘরোল নিরীহ জঙ্গলি বিড়াল এবং পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য প্রানী। জলাভূমি ভরাট ও বাসস্থানের অভাবে বর্তমানে বাঘরোলের সংখ্যা ক্রমশ কমছে। এরই মধ্যে বাগনানে পাওয়া এই শাবক বাঘরোলকে পুনরায় তার মায়ের কাছে পরিবেশে ফিরিয়ে দেওয়া পশ্চিমবঙ্গে বাঘরোল সংরক্ষনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করল।
রাকেশ মাইতি