Howrah News: গঙ্গাধরপুরের গাজন উৎসবে ধর্ম দেবতার আরাধনা

Last Updated:
দেবতার আরাধনায় গঙ্গাধরপুর ধর্মরাজের গাজন উৎসবে ধারালো তরবারি শয্যায় শয়ন করে ভক্ত, শালেভরের সেই দৃশ্য চাক্ষুষ করতে বিভিন্ন গ্রাম থেকে হাজার হাজার মানুষ হাজির হয় গঙ্গাধরপুরে
1/7
দেবতার আশীর্বাদ পেতে তরবারি শয্যায় শয়ন ভক্তের! ধর্মরাজের গাজন উৎসব হাওড়ার গঙ্গাধরপুর গ্রামে। কয়েক শতাব্দী প্রাচীন রীতি মেনে দেবতার আশীর্বাদ পেতে ভক্ত তরবারি শয্যায় শয়ন করে মন্দির প্রদক্ষিণ ভক্তের।
দেবতার আশীর্বাদ পেতে তরবারি শয্যায় শয়ন ভক্তের! ধর্মরাজের গাজন উৎসব হাওড়ার গঙ্গাধরপুর গ্রামে। কয়েক শতাব্দী প্রাচীন রীতি মেনে দেবতার আশীর্বাদ পেতে ভক্ত তরবারি শয্যায় শয়ন করে মন্দির প্রদক্ষিণ ভক্তের।
advertisement
2/7
চৈত্র মাসে নীলকন্ঠ দেবের আরাধনায় মেতে ওঠে ভক্তরা। চৈতের গাজন উৎসবে দেখা যায় দেবতার আশীর্বাদ পেতে ভক্তরা বা সন্ন্যাসী শরীরে বান ফোড়েন, আগুনের উপর দিয়ে হাঁটেন, কাটাযুক্ত খেজুর গাছে চড়েন, বটিতে ঝাঁপ দেওয়ার মত নানা রীতি দেখা যায়।
চৈত্র মাসে নীলকন্ঠ দেবের আরাধনায় মেতে ওঠে ভক্তরা। চৈতের গাজন উৎসবে দেখা যায় দেবতার আশীর্বাদ পেতে ভক্তরা বা সন্ন্যাসী শরীরে বান ফোড়েন, আগুনের উপর দিয়ে হাঁটেন, কাটাযুক্ত খেজুর গাছে চড়েন, বটিতে ঝাঁপ দেওয়ার মত নানা রীতি দেখা যায়।
advertisement
3/7
পাঁচলার গঙ্গাধরপুর গ্রামে কয়েক শতাব্দি প্রাচীন গাজন উৎসব বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে মানুষের আকর্ষণ। প্রতিবছর শালেভরের দিন সন্ধ্যায় বিভিন্ন গ্রাম থেকে হাজার হাজার মানুষ হাজির হয়ে থাকে গঙ্গাধরপুর ধর্ম মন্দির প্রাঙ্গনে ভক্তের শালেভরে করে মন্দির প্রদক্ষিণ দৃশ্য দেখতে।
পাঁচলার গঙ্গাধরপুর গ্রামে কয়েক শতাব্দি প্রাচীন গাজন উৎসব বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে মানুষের আকর্ষণ। প্রতিবছর শালেভরের দিন সন্ধ্যায় বিভিন্ন গ্রাম থেকে হাজার হাজার মানুষ হাজির হয়ে থাকে গঙ্গাধরপুর ধর্ম মন্দির প্রাঙ্গনে ভক্তের শালেভরে করে মন্দির প্রদক্ষিণ দৃশ্য দেখতে।
advertisement
4/7
প্রায় ১২-১৫ দিন আগে গঙ্গাধরপুর গ্রামে ধর্মরাজের শালেভর উৎসবের নানা নিয়ম রীতির মধ্য দিয়ে প্রতি বছর উৎসবের সূচনা হয়। সন্ধ্যায় কয়েকদিন ব্যাপী গান, গ্রামবাসীর মঙ্গল কামনায় মানুষের বাস্তুভিটেতে হকের গুঁড়ি বিলি ও সন্ন্যাসীর গ্রাম ভ্রমন, কুমীর পুজো, দেবতার স্নান বা মুক্তার স্নানের পরদিন শালেভর ঝাঁপ ধর্মরাজের পুজো অনুষ্ঠিত হয়। ধর্মরাজের গাজন উৎসব নৈহাঁড়ি ভাসানের মধ্য দিয়ে বাৎসরিক গাজন উৎসবের সমাপ্ত হয় প্রতিবছর।
প্রায় ১২-১৫ দিন আগে গঙ্গাধরপুর গ্রামে ধর্মরাজের শালেভর উৎসবের নানা নিয়ম রীতির মধ্য দিয়ে প্রতি বছর উৎসবের সূচনা হয়। সন্ধ্যায় কয়েকদিন ব্যাপী গান, গ্রামবাসীর মঙ্গল কামনায় মানুষের বাস্তুভিটেতে হকের গুঁড়ি বিলি ও সন্ন্যাসীর গ্রাম ভ্রমন, কুমীর পুজো, দেবতার স্নান বা মুক্তার স্নানের পরদিন শালেভর ঝাঁপ ধর্মরাজের পুজো অনুষ্ঠিত হয়। ধর্মরাজের গাজন উৎসব নৈহাঁড়ি ভাসানের মধ্য দিয়ে বাৎসরিক গাজন উৎসবের সমাপ্ত হয় প্রতিবছর।
advertisement
5/7
ধর্মরাজের গাজন উৎসবে ইচ্ছুক গ্রামবাসী সন্ন্যাস গ্রহণ করে। তবে কয়েকটি পরিবার রয়েছে যাদের মধ্য থেকে একজন করে সন্ন্যাস গ্রহণ করতেই হবে, এমন রীতি কয়েক শতাব্দী বছর ধরে পালিত হচ্ছে। বিভিন্ন বছর সন্ন্যাসীর সংখ্যা বিভিন্ন হয়ে থাকে, এবার ছালে ভরে ২০ জন ভক্ত সন্ন্যাস গ্রহণ করে। অভিজ্ঞ একজন মূল সন্ন্যাসী হয়ে থাকেন ।
ধর্মরাজের গাজন উৎসবে ইচ্ছুক গ্রামবাসী সন্ন্যাস গ্রহণ করে। তবে কয়েকটি পরিবার রয়েছে যাদের মধ্য থেকে একজন করে সন্ন্যাস গ্রহণ করতেই হবে, এমন রীতি কয়েক শতাব্দী বছর ধরে পালিত হচ্ছে। বিভিন্ন বছর সন্ন্যাসীর সংখ্যা বিভিন্ন হয়ে থাকে, এবার ২০ জন ভক্ত সন্ন্যাস গ্রহণ করে থাকে। অভিজ্ঞ একজন মূল সন্ন্যাসী হয়ে থাকেন ।
advertisement
6/7
গঙ্গাধরপুর ধর্মরাজের গাজন উৎসব মূলত গঙ্গাধরপুর এবং গোণ্ডলপাড়া গ্রামের সম্মিলিত উৎসব। কয়েক শতাব্দী প্রাচীন রীতি মেনে এই গাজন উৎসবে দুই গ্রামের মানুষ এক হয়। ধর্মরাজের মন্দির গঙ্গাধরপুর গ্রামে অবস্থিত, স্নানপুকুরটি গন্ডোলপাড়া গ্রামে। মন্দির থেকে শালেভর এর আগের দিন মুক্ত স্নান হয়। মন্দির থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরত্বে গন্ডোলপাড়া গ্রামে ধর্মরাজের পুকুরে স্নান করতে যান স্বয়ং দেবতা এবং সন্ন্যাসী। সেই সঙ্গে হাজারো গ্রামের মানুষ অংশগ্রহণ করে।
গঙ্গাধরপুর ধর্মরাজের গাজন উৎসব মূলত গঙ্গাধরপুর এবং গোণ্ডলপাড়া গ্রামের সম্মিলিত উৎসব। কয়েক শতাব্দী প্রাচীন রীতি মেনে এই গাজন উৎসবে দুই গ্রামের মানুষ এক হয়। ধর্মরাজের মন্দির গঙ্গাধরপুর গ্রামে অবস্থিত, স্নানপুকুরটি গন্ডোলপাড়া গ্রামে। মন্দির থেকে শালেভর এর আগের দিন মুক্ত স্নান হয়। মন্দির থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরত্বে গন্ডোলপাড়া গ্রামে ধর্মরাজের পুকুরে স্নান করতে যান স্বয়ং দেবতা এবং সন্ন্যাসী। সেই সঙ্গে হাজারো গ্রামের মানুষ অংশগ্রহণ করে।
advertisement
7/7
গঙ্গাধরপুর গ্রামে ধর্মরাজ দেবের আরাধনার অন্যতম আকর্ষণ শালেভর। পুজোর দিন সকালে বাঁশ ও কলা গাছ বেঁধে তার মধ্যে পরপর ৭ টি ধারালো তরবারি সাজিয়ে শয্যা তৈরি করা হয়। গ্রামের অভিজ্ঞ কয়েকজন মানুষ রয়েছে তারাই শাল তৈরি এবং সন্ন্যাসীর শালে তোলার কাজে হাত লাগায়। কয়েক বছর এই শালেভরে নানা থিমের সাজ। যা ভীষণভাবে আকৃষ্ট করে মানুষকে, এবারও নানা থিম। কোনও শাল ফুল পাতা ও বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে দিয়ে আকর্ষণীয় সাজ, আবার কোনওটি তিরুপতি মন্দির, কোনওটি লালকেল্লা আবার ভারতীয় সেনাদের জয়জয়কার অপারেশন সিন্দুরের মত থিম ফুটে উঠেছে শালে।
গঙ্গাধরপুর গ্রামে ধর্মরাজ দেবের আরাধনার অন্যতম আকর্ষণ শালেভর। পুজোর দিন সকালে বাঁশ ও কলা গাছ বেঁধে তার মধ্যে পরপর ৭ টি ধারালো তরবারি সাজিয়ে শয্যা তৈরি করা হয়। গ্রামের অভিজ্ঞ কয়েকজন মানুষ রয়েছে তারাই শাল তৈরি এবং সন্ন্যাসীর শালে তোলার কাজে হাত লাগায়। কয়েক বছর এই শালেভরে নানা থিমের সাজ। যা ভীষণভাবে আকৃষ্ট করে মানুষকে, এবারও নানা থিম। কোনও শাল ফুল পাতা ও বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে দিয়ে আকর্ষণীয় সাজ, আবার কোনওটি তিরুপতি মন্দির, কোনওটি লালকেল্লা আবার ভারতীয় সেনাদের জয়জয়কার অপারেশন সিন্দুরের মত থিম ফুটে উঠেছে শালে।
advertisement
advertisement
advertisement