কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায় সবজি বিক্রির ব্যবসা করেন। সবজি বিক্রি করে কোনও রকমে চলে সংসার। তবে বর্তমানে সেই ব্যবসাতেও মন্দা দেখা দিয়েছে। বাড়ির আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ। তাই বাড়ি ভেঙে যাওয়ার পরে আর সামর্থ্য নেই নতুন বাড়ি তৈরি করার। বৃদ্ধ প্রায় ৯০ বছর বয়সী শাশুড়িকে নিয়ে বহু কষ্ট দিন কাটাচ্ছেন ঝুমা দেবী। এই প্রসঙ্গে ঝুমা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বৃষ্টিপাতের কারণে আমাদের বাড়ি ভেঙে গিয়েছে। আমরা খুব গরীব। নতুন বাড়ি করার সামর্থ্য নেই। স্বামীর সবজি বিক্রির ব্যবসাও বন্ধ। খুব কষ্ট আমাদের দিন কাটাতে হচ্ছে এই লোকের বাড়ির বারান্দায়। আমাদের কেউ সাহায্য করলে আমরা খুবই উপকৃত হব।
advertisement
আরও পড়ুন: বিদ্যুতের লাইন বন্ধ না করেই কাজ করছিলেন, কথা না শোনার চরম পরিণতি!
বাড়ি নেই ! প্রতিবেশীর বাড়ির বারান্দাতেই কাটছে দিন। এমনকি বর্তমানে যেখানে থাকছেন সেখানে নেই কোনও বিদ্যুৎ এর ব্যবস্থা। সন্ধ্যার পর থেকে মোমবাতির আলো তাঁদের একমাত্র ভরসা। বৃষ্টিপাতের কারণে নিজের বাড়ি হারিয়ে আজ এই ভয়াবহ পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে এই পরিবারকে। এই সমস্যা নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনকেও জানানো হয়েছে পরিবারের তরফে।
তবে প্রশাসনকে জানানো হলেও মিলেছে প্রতিশ্রুতি এবং একটা মাত্র ত্রিপল। বাড়ি ভেঙে যাওয়ার পরিবর্তে মিলেছে শুধুমাত্র একটা ত্রিপল। শুনতে কিছুটা অবাক লাগলেও আদতে এটাই সত্যি। বর্তমানে অসহায় হয়ে এভাবেই প্রতিবেশীর বাড়ির বারান্দায় আশ্রয় নিতে হয়েছে এই পরিবারকে।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী