আত্মীয় ও প্রতিবেশীদের দাবি, আট মাস আগে কাশীনাথ নন্দীর ২১ বছরের ছেলে শান্তনু নন্দী আত্মঘাতী হয়েছিলেন। তিনি ডাক্তারি পড়ুয়া ছিলেন। তার পর থেকেই পরিবারের সকলে ভেঙে পড়েছিলেন। কারও সঙ্গে তেমন কথাবার্তা বলতেন না। পুত্রশোকেই পরিবারের সকলে একসঙ্গে এই মর্মান্তিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে প্রতিবেশীদের অনুমান।
আরও পড়ুন- বিকট আওয়াজে ছুটে আসলেন সকলে, সীমান্ত শহরে সাত সকালে ঘটল এমন কান্ড
advertisement
এদিন সকালে পরিবারের কাউকে বাইরে বের হতে না দেখে প্রতিবেশীদের সন্দেহ হয়। অনেক ডাকাডাকি করেও সাড়া না মেলায় প্রতিবেশীরা বাড়ির ভিতর ঢোকেন। তখনই লক্ষ্য করেন, গোয়ালঘরে তিনজন গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলছেন। এর পরই স্থানীয়রা গোঘাট থানায় খবর দেন। পুলিশ তিনজনের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।
মর্মান্তিক এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমেছে। জানা গিয়েছে, মৃতদের নাম অনিমা নন্দী (৭১), কাশীনাথ নন্দী (৫৫) এবং মমতা নন্দী (৪৭)। প্রতিবেশীদের দাবি, পুত্রশোকেই হয়তো এই সিদ্ধান্ত! নন্দী পরিবারের এক প্রতিবেশী জানান, এ দিন সকালে কাউকে বাড়ি থেকে বেরোতে না দেখে সন্দেহ হয় তাঁদের। তাঁরা বাড়ির বাইরে থেকে অনেক ডাকাডাকিও করেন। কিন্তু কেউ সাড়া দেননি। এর পর দরজা ভেঙে বাড়ির মধ্যে গিয়ে তাঁরা দেখেন, গোয়ালঘরে ৩ জনের দেহ ঝুলছে।
আরও পড়ুন- দেশের সব মেডিক্যাল কলেজে শিক্ষক-চিকিৎসকদের বায়োমেট্রিক হাজিরা বাধ্যতামূলক! কবে শুরু?
স্থানীয়রাই গোঘাট থানায় খবর দেন। তাঁদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। সেখানেই চিকিৎসক তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশ তাঁদের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। হুগলি গ্রামীণের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কৃষাণু রায় বলেন, ‘প্রতিবেশীদের দাবি, নন্দী পরিবারের সদস্যরা অবসাদে ভুগছিলেন। প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হচ্ছে, আত্মঘাতী হয়েছেন তাঁরা। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত মৃত্যুর কারণ নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয়।’
রাহী হালদার