মৃতের নাম, সৈয়দ সালাউদ্দিন। বয়স মাত্র ১৯ বছর। আসানসোলে মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়ছিলেন তিনি। ফাইনাল পরীক্ষা বাকি ছিল যুবকের। বাড়ি মল্লারপুরের সুমনাপল্লিতে।
গতকাল, শনিবার সৈয়দ তাঁর বন্ধু সলমন শেখের সঙ্গে বাইরে যান। সন্ধ্যার পর তাঁর ফোন থেকে তাঁর বাবা, সৈয়দ আব্দুল মোতিনের কাছে একটি ফোন আসে। আনুমানিক ৩০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। পরিবারের লোকজন তড়িঘড়ি থানায় খবর দেন। কিন্তু শনিবার রাতেই থানা থেকে জানানো হয় ইলামবাজারে একটি মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। পরিবারকে দেহ শনাক্তকরণের জন্য ডাকা হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: বাগুইআটি জোড়া খুনে মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্রর ১৪ দিনের সিআইডি হেফাজতের নির্দেশ
সৈয়দের বন্ধু সলমনের ফোনের টাওয়ার লোকেশন ছিল ওই মুহূর্তে ইলামবাজারে চৌ পাহাড়ি জঙ্গল। আর সেখান থেকেই সৈয়দের মৃতদেহ উদ্ধার হয়।
রবিবার সকাল থেকেই ঘটনাস্থলে রয়েছেন বীরভূম জেলার পুলিশ সুপার। সঙ্গে পুলিশ বাহিনী। মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সৈয়দের বন্ধু সলমনকে আটক করে জেরা করা শুরু করেছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশ সূত্রে খবর, কিছু দিন আগে সৈয়দের কাছে দু’ লক্ষ টাকা ধার চেয়েছিলেন সলমন। আপাতত জোর তদন্ত চলছে।
আরও পড়ুন: গালিগালাজ, অপমান করত অতনু, তাই খুন! সত্যেন্দ্রর দাবি মানতে নারাজ গোয়েন্দারা
একই রকম ঘটনা ঘটেছে বাগুইআটিতে। গত ২২ অগস্ট থেকে নিখোঁজ ছিল বাগুইআটির হিন্দু বিদ্যাপীঠের দশম শ্রেণির দুই ছাত্র। গত ২৫ অগস্ট হাড়োয়া থানার কুলটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় নয়ানজুলি থেকে উদ্ধার করা হয় অভিষেকের দেহ। এর আগে, গত ২৩ অগস্ট ন্যাজাট থানা এলাকা থেকে উদ্ধার হয় অতনুর দেহ। অপহরণ করে নৃশংস খুনের অভিযোগে গ্রেফতার সত্যেন্দ্র চৌধুরী বলে এক ব্যক্তি।