রাত থেকে হাতির গতিবিধির উপর নজর রাখে বন দফতরের কর্মীরা। অবশেষে সন্ধ্যা নামতেই নির্বিঘ্নে শহর থেকে জঙ্গলে পাঠানো হয় হাতিগুলোকে। সারাদিন ভয় পরিস্থিতি থাকলেও অবশেষে স্বস্তিতে খড়্গপুরের মানুষ। পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে, দক্ষ হুলা পার্টির সাহায্যে বন দফতরের তরফে হাতিগুলোকে ঘিঞ্জি এলাকা থেকে জঙ্গলে পাঠানো হয়। সারাদিন রেল শহর খড়্গপুরে চলে টানটান উত্তেজনা।
advertisement
প্রসঙ্গত মেদিনীপুর ডিভিশন থেকে সোমবার প্রায় রাত্রি ন’টা নাগাদ কংসাবতী নদী পেরিয়ে খড়গপুর ডিভিশনে প্রবেশ করে ৯ থেকে ১০টি হাতির একটি দল। ভোররাত্রি নাগাদ হঠাৎই দিকভ্রষ্ট হয়ে শহরের মধ্যে প্রবেশ করে হাতির এই পালটি। অবস্থান করে খড়গপুর সদর হাসপাতালের পেছনে জঙ্গলে। স্বাভাবিকভাবে শহরের মধ্যে হাতি প্রবেশ করতেই রীতিমত হুলুস্থলু বেঁধে যায় সাধারণ মানুষের মধ্যে। কেউ কেউ আবার অতি সাহস দেখিয়ে হাতি দেখতে ভিড় জমান। তবে প্রশাসনের তরফে হাতির গতিবিধির ওপর নজরদারি রাখা হয়েছিল সেই ভোর থেকেই। অবশেষে মঙ্গলবার সন্ধ্যা নামতেই দক্ষ হুলা পার্টির সহযোগিতা নিয়ে পাঠানো হয় জঙ্গলে।
বনকর্মী এবং হুলা পার্টির সদস্যদের তৎপরতায় খড়্গপুর শহরের সাউথ সাইড এলাকার সিস্টেম টেকনিক্যাল সংলগ্ন জঙ্গলে অবস্থানকারী একটি হস্তীশাবক সহ ন’টি হাতির এই দলটিকে নির্বিঘ্নে শহরের বাইরে নিয়ে যেতে সক্ষম হয় বন দফতর। মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকেই সিস্টেম টেকনিক্যাল স্কুলের পেছনের জঙ্গল সংলগ্ন রাস্তা দিয়ে, শহরের আরামবাটির রেল লাইন পার করে হীরাডিহির দিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ওই হাতির দলটিকে। বন দফতর তরফে জানানো হয়েছে, একটি হস্তিশাবক-সহ মোট ৯টি হাতির ওই দলটিকে খড়্গপুর বনবিভাগের ঝটিয়ার গভীরে জঙ্গলে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: দেখলেই ভয় লাগবে, নতুন প্রজাতির সাপ আবিষ্কার ভারতের! নাম রাখা হল বিখ্যাত অভিনেতার নামে
সকাল থেকে চরম আতঙ্ক থাকলেও অবশেষে স্বস্তিতে রেলশহর খড়গপুর। হাতিকে উত্ত্যক্ত না করা এবং জঙ্গল ও পরিবেশ বাঁচানোর আহ্বান জানানো হয়েছে বনবিভাগের তরফে। তবে খড়্গপুর ডিভিশন জুড়ে অন্যান্য হাতিদের উপর নজরদারি রাখা হয়েছে বন দফতরের তরফে।