হাতি প্রতিকূল পরিবেশে নতুন কিছু শিখে নতুন পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। হাতিরা বয়স্ক সদস্যের নেতৃত্বে একক পরিবার গঠন করে নির্দিষ্ট জায়গায় একত্রিত হয়ে বসবাস করে। নিজেদের মধ্যে যোগাযোগের জন্য অনেক দূর থেকে কম-ফ্রিকোয়েন্সির শব্দ ব্যবহার করে। হাতির স্মৃতিশক্তি এতটাই ভাল যে তারা বহু বছর পরেও কোনও জায়গা বা ব্যক্তিকে চিনতে পারে। সকাল থেকে সঙ্গীদের খোঁজে তার জেরে আটকে পড়ল আপ ও ডাউন লাইনে লোকাল এবং এক্সপ্রেস ট্রেন। ট্রেনে থাকা যাত্রীরা, ট্রেন থেকে নেমেই বন্দি করতে থাকে হাতির ছবি। পুনরায় সেই হাতি গুলিকে রেল পুলিশ ও বন দফতরের কর্মীরা জঙ্গলে ফেরায়।
advertisement
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বাঁশতলা স্টেশনের নিকটে ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু হল তিনটি হাতির। যার মধ্যে একটি পূর্ণবয়স্ক, দুটি হাতির শাবক রয়েছে।
আরও পড়ুন: পুরুলিয়ার দুই স্কুল পড়ুয়ার অভিনব ভাবনা,শিবের মাথায় জল ঢালতে ৩০ কিলোমিটার দণ্ডী
স্থানীয় সূত্রে খবর রাত্রি একটা নাগাদ ঝাড়গ্রাম থেকে জনশতাব্দী এক্সপ্রেস খড়গপুর যাওয়ার সময় বাঁশতলাতে হাতি তাড়াচ্ছিলেন বন দফতর ও হুলা পার্টির সদস্যরা সেই সময় একটি বয়স্ক হাতি ও দুটি শাবক হাতি বাঁশতলা স্টেশনের পরেই রেল লাইনের উপরে উঠে যায়, যার ফলে ঘটে বিপত্তি, ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তিনটি হাতির। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হয় বনদফতরের উচ্চপদস্থ আধিকারিক ও রেল আধিকারিকরা। তৎক্ষণাৎ ট্রেন চলাচল স্তব্ধ হয়ে পড়ে। বনদফতরের তরফে রেলকে আগাম জানান হয়েছিল যে রেল লাইনের পাশেই রয়েছে হাতির দল। এমনটাই জানাচ্ছে বন দফতর। সেক্ষেত্রে রেলের তৎপরতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
বনদফতরের আধিকারিকরা হাতির মৃতদেহগুলিকে উদ্ধার করেন। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ সঠিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হুলা পার্টি নিয়োগ না করার ফলে একের পর এক হাতির মৃত্যুর ঘটনা লক্ষ্য করা গেছে। ঝাড়গ্রাম জেলায় বনদফতরের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।