গ্রামের ভেতর রাস্তায় চলার সময় পাশাপাশি বাড়িগুলির দেওয়াল শুঁড় দিয়ে ভেঙে ফেলছে একাই, এমনই বন দফতর সূত্রে খবর। এভাবে পরপর চার রাতে ২৩ টি বাড়ি ভেঙে ফেলেছে বলে বন দফতর জানিয়েছে। মেদিনীপুর বনবিভাগের পিড়াকাটা, চাঁদড়া এই দুই রেঞ্জে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে একটি দলছুট দাঁতাল। তাকে সরাতে হিমশিম বনকর্মীরা। বুধবার গভীর রাতেও পিড়াকাটা রেঞ্জের বড় কলসিভাঙ্গা, পাথরি এলাকায় ১১ টি বাড়ি ভেঙে ফেলে। সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে চক্ষু চড়কগাছ বনকর্মীদের। কেন লাগাতার বাড়ি ভাঙছে ওই দাঁতাল? চাঁদড়া রেঞ্জের আধিকারিক লক্ষীকান্ত মাহাত বলেন, “কোন খাবার না থাকলেও একের পর এক বাড়ির ভেঙে ফেলছে। কি কারণে ভাঙছে বুঝে উঠতে পারছিনা।”
advertisement
জানা গিয়েছে, তার আগে পরপর তিন রাতে চাঁদড়ার শিরষী, চাঁদাবিলা, ঝরিয়া, গোলকচক সহ বিভিন্ন এলাকায় আরও ১২টি বাড়ি ভেঙে ছিল। কোনরকমে রক্ষা পেয়েছিলেন এক ব্যক্তি ও বৃদ্ধা। টানা বৃষ্টিতে মাটির বাড়ির দেওয়াল নরম হয়ে গিয়েছে। গৃহবন্দী সকলে। তার উপর রাত হলেই দাঁতালের হানাতে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, বাড়িতে হাতির কোন খাবার না থাকলেও দেওয়াল, দরজা, জানালা ভেঙে ফেলছে শুঁড় দিয়ে। বুধবার রাতে পিড়াকাটা এলাকায় ১১টি বাড়ি ভাঙার পর ঘুম উড়েছে বন দফতরের। এর আগে দলছুট হাতির লাগাতার বাড়ি ভাঙার ঘটনা নেই। এই হাতিটি কেন এত বাড়ি ভাঙছে বা বাড়ির উপর কেন আক্রোশ তার কারণ খুঁজতে তদন্ত শুরু করেছে বন দফতর।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
পিড়াকাটা রেঞ্জ আধিকারিক শুভজিৎ দাস বলেন, “এক রাতেই ১১টি বাড়ি ভেঙেছে। গ্রামের ভেতরে পথ দিয়ে চলতে চলতে আশেপাশের বাড়িগুলিতে হানা দিচ্ছে। কোন খাবারের খোঁজ করেনি। বেশিরভাগ বাড়িতে খাবারও ছিল না কিছু। তাতেও কেন বাড়ি ভাঙছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” হাতিটিকে অন্যত্র সরানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।
রঞ্জন চন্দ