বাড়ির গৃহপালিত মহিষ খুঁজতে বেরিয়ে দলছুট দাঁতালের মুখোমুখি হন দুই ভাই। দলছুট দাঁতালের হামলায় প্রাণ হারালেন দাদা। মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন ভাই। মঙ্গলবার রাত্রি ১০টা নাগাদ মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে আড়াবাড়ি রেঞ্জের মিরগা বিটের অধীন শালবনী থানার বাঘপিছলা গ্রামে। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে পুলিশের তরফে। অপরদিকে, পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে বন দফতর।
advertisement
“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন”
পুলিশ ও বনদফতর সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতে শালবনী ব্লকের বাঘপিছলা গ্রামের বাসিন্দা বঙ্কিম মাহাত (৫২) এবং তাঁর ভাই কালীপদ মাহাত (৪৫) তাঁদের একটি মহিষের খোঁজে বেরিয়েছিলেন। খুঁজতে খুঁজতে গ্রাম সংলগ্ন জঙ্গলে (মহুলবনীর জঙ্গলে) পৌঁছে গিয়েছিলেন তাঁরা। সেখানেই একটি দলছুট দাঁতালের একেবারে মুখোমুখি হয়ে যান দু’ভাই। দাঁতালের আক্রমণে গুরুতর জখম হন দু’জনই।
তাঁদের চিৎকার শুনে এলাকাবাসীরা ছুটে এসে তাঁদের উদ্ধার করে নিয়ে যান শালবনী সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসকেরা বঙ্কিম মাহাত (৫২)-কে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর ভাই কালীপদ মাহাত-কে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাত্রি ১১টা নাগাদ স্থানান্তরিত করা হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। ঘটনা ঘিরে এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে ব্যাপক চাঞ্চল্য। পুলিশের তরফে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
আড়াবাড়ি রেঞ্জের রেঞ্জ অফিসার বাবলু মান্ডি বলেন, “ওখানে যে একটি দলছুট হাতি অবস্থান করছিল তা ওঁরা জানতেন না। হঠাৎই হাতির মুখোমুখি হলে এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে। বন দফতর পরিবারের পাশে থাকবে। সরকারি নিয়ম মেনে চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই মৃতের পরিবারের হাতে ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ তুলে দেওয়া হবে। সেইসঙ্গে নিয়ম অনুযায়ী পরিবারের একজন হোমগার্ডের চাকরিও পাবেন। আহত ব্যক্তির চিকিৎসার বিষয়েও বন দফতর সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে।”
রঞ্জন চন্দ