আসানসোল পুরনিগমের ৮৭ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত জামডোবা গ্রাম। আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভা আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রাম জামডোবা। অথচ এই গ্রামটি এতদিন অন্ধকারে ডুবে ছিল। বিদ্যুৎ নেই। তাই রাস্তাতেই স্কুল বানিয়ে চলছিল শিক্ষাদান। ভরসা লম্ফ কিম্বা মোমবাতি। চলতি মাসের ২২ তারিখ এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় নিউজ এইট্টিন বাংলায়। তারপরই বিষয়টি নজরে আসে আসানসোল পুরনিগমের। আসানসোলের মেয়র বিধান উপাধ্যায় বলেছিলেন, ওই গ্রামের সমস্যার কথা শুনেছি। যাতে শীঘ্রই ওই গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া যায় সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।
advertisement
আরও পড়ুন: নিজের রক্ত দিয়ে এঁকেছেন মুখ্যমন্ত্রীর ছবি, তাঁকেই উপহার দিতে চান দুর্গাপুরের সুরজিৎ
এ ছাড়াও ওই গ্রামে অনুন্নয়নের যে বিষয়গুলো রয়েছে, সেগুলোও গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে'। খবর নজরে আসতেই সেই গ্রামে যান স্থানীয় বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। গ্রামটি তাঁরই বিধানসভা কেন্দ্র আসানসোল দক্ষিণের অন্তর্গত। গ্রাম পরিদর্শন করে অগ্নিমিত্রা পাল জানান, সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে দরবার করেছি যাতে দ্রুত এই গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়। শেষমেষ গ্রামে এল বিদ্যুৎ। আর এই বিদ্যুৎ আসাকে কেন্দ্র করেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। স্থানীয় কাউন্সিলর তরুণ চক্রবর্তীর কথায়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় এই গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ সম্পন্ন হল। আমরা অনেকদিন ধরেই আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছিলাম এই গ্রামে যাতে বিদ্যুৎ আসে।
অন্যদিকে, স্থানীয় বিধায়ক বিজেপির অগ্নিমিত্রা পালের দাবি, এতদিন গ্রাম অবহেলিতই ছিল। গ্রামবাসীরা বারবার দাবি জানালেও বিদ্যুৎ আনার ক্ষেত্রে চরম উদাসীন ছিল প্রশাসন। আমি গ্রাম পরিদর্শন করে সংশ্লিষ্ট বিদ্যুৎ দফতরের সঙ্গে কথা বলি। তার পরেই অন্ধকার দশা কেটে আলোর মুখ দেখল এই গ্রাম। তবে শাসক-বিরোধী তরজার মধ্যে না গিয়ে গ্রামবাসীদের বক্তব্য, যার উদ্যোগেই আমাদের গ্রামে বিদ্যুৎ আসুক না কেন। শেষমেষ গ্রামে পৌঁছল বিদ্যুতের আলো। আমরা এতেই খুশি।
VENKATESWAR LAHIRI