১৭ বছর আগে দুর্গাপুজোর পরই নিজেদের একমাত্র প্রিয় মেধাবী সন্তানকে হারিয়েছিলেন এই দম্পতি। একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে ভেঙে পড়েছিলেন তাঁরা। সন্তানহারা এই দম্পতি হয়ে ওঠেন একাধিক সন্তানের বাবা-মা। ছেলের মৃত্যুর পর রামকৃষ্ণ মিশনের সহযোগিতা নিয়ে নিজের বাড়িতে এলাকার পিছিয়ে পড়া ছেলেমেয়েদের রেখে তাদের রান্না করে খাওয়ানো, স্কুলে পাঠানো, প্রাইভেট টিউশন এবং সর্বোপরি তাদেরকে মানুষের মতো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলছেন সন্তানহারা এই দম্পতি।
advertisement
পশ্চিম মেদিনীপুরের মেদিনীপুর শহরের বাসিন্দা মঞ্জু মাইতি। প্রতিদিন সকাল থেকে উঠে হাঁড়িতে ভাত বসান মঞ্জু দেবী। এরপর একে একে অন্যান্য সবজি রান্না। প্রতিদিন নিজের হাতে প্রত্যেককে বেড়ে দেন খাবার। খাবার শেষ হলে খোঁজ নিয়ে নিয়ে প্রত্যেককে বিদ্যালয়ে পাঠান। তাঁকে সাহায্য করে তার স্বামী শৈলেন্দ্রনাথ।
প্রতিদিন সকাল থেকে তাঁদের রান্না করার কাজ শুরু করেন মঞ্জু দেবী। নির্দিষ্ট সময়ে তাদের খাইয়ে বিদ্যালয় পাঠান। শুধু তাই নয়, বাড়িতেই চলে প্রাইভেট টিউশন। বেশ কিছু জন শিক্ষক-শিক্ষিকা বিনা পারিশ্রমিকে তাঁদের শিক্ষা দেন। বেশ কয়েকজন ছেলে তাঁর বাড়িতে থেকেই পড়াশোনা করে। এভাবেই দীর্ঘ ১৭ টা বছর কাটিয়ে ফেলেছেন এই বৃদ্ধ দম্পতি।
রঞ্জন চন্দ