TRENDING:

Women's Day 2025: সকাল থেকে নিজে না খেয়ে 'ওদের' জন্য রান্না করেন! সন্তান-হারা এই মায়ের কাহিনি অবাক করবে

Last Updated:

Women's Day 2025: সকালে উঠে নিজের খাওয়া ভুলে তাদের খাইয়ে বিদ্যালয়ে পাঠান তিনি। নারী দিবসের আগে এমন এক বীরাঙ্গনার বীর কাহিনীকে কুর্নিশ জানাতে হয়।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
পশ্চিম মেদিনীপুর: সকাল থেকে উঠে উনুনে ভাত বসান। গ্যাস জ্বালিয়ে করেন বাকি রান্না। সকাল দশটার আগেই থালায় গরম ভাত বেড়ে দেন সকলের জন্য। এরপর নির্দিষ্ট সময়ে সবাইকে বিদ্যালয়ে পাঠিয়ে দেন। শারীরিকভাবে অসুস্থতাকে দূরে সরিয়ে রেখে শুধু এক-আধ দিন নয়, ১৭ টা বছর এই কাজ করে আসছেন এক বৃদ্ধা। সহযোগী হিসাবে পেয়েছেন তাঁর স্বামীকে। প্রত্যন্ত গ্রামের পিছিয়ে পড়া ছেলেমেয়েদের আনতে হবে মূল স্রোতে। লক্ষ্য, তাদের গড়ে তুলতে হবে। নিজের ছেলেকে হারিয়ে আজ বহু ছেলেমেয়ের ‘মা’ এই বৃদ্ধা। পারিপার্শ্বিক নানা কারণে তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়লেও ছেলেমেয়েদের কাছে তিনি ‘ঈশ্বর’। সকালে উঠে নিজের খাওয়া ভুলে তাদের খাইয়ে বিদ্যালয়ে পাঠান তিনি। নারী দিবসের আগে এমন এক বীরাঙ্গনার বীর কাহিনীকে কুর্নিশ জানাতে হয়।
advertisement

১৭ বছর আগে  দুর্গাপুজোর পরই নিজেদের একমাত্র প্রিয় মেধাবী সন্তানকে হারিয়েছিলেন এই দম্পতি। একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে ভেঙে পড়েছিলেন তাঁরা। সন্তানহারা এই দম্পতি হয়ে ওঠেন একাধিক সন্তানের বাবা-মা। ছেলের মৃত্যুর পর রামকৃষ্ণ মিশনের সহযোগিতা নিয়ে নিজের বাড়িতে এলাকার পিছিয়ে পড়া ছেলেমেয়েদের রেখে তাদের রান্না করে খাওয়ানো, স্কুলে পাঠানো, প্রাইভেট টিউশন এবং সর্বোপরি তাদেরকে মানুষের মতো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলছেন সন্তানহারা এই দম্পতি।

advertisement

পশ্চিম মেদিনীপুরের মেদিনীপুর শহরের বাসিন্দা মঞ্জু মাইতি। প্রতিদিন সকাল থেকে উঠে হাঁড়িতে ভাত বসান মঞ্জু দেবী। এরপর একে একে অন্যান্য সবজি রান্না। প্রতিদিন নিজের হাতে প্রত্যেককে বেড়ে দেন খাবার। খাবার শেষ হলে খোঁজ নিয়ে নিয়ে প্রত্যেককে বিদ্যালয়ে পাঠান। তাঁকে সাহায্য করে তার স্বামী শৈলেন্দ্রনাথ।

advertisement

প্রতিদিন সকাল থেকে তাঁদের রান্না করার কাজ শুরু করেন মঞ্জু দেবী। নির্দিষ্ট সময়ে তাদের খাইয়ে বিদ্যালয় পাঠান। শুধু তাই নয়, বাড়িতেই চলে প্রাইভেট টিউশন। বেশ কিছু জন শিক্ষক-শিক্ষিকা বিনা পারিশ্রমিকে তাঁদের শিক্ষা দেন। বেশ কয়েকজন ছেলে তাঁর বাড়িতে থেকেই পড়াশোনা করে। এভাবেই দীর্ঘ ১৭ টা বছর কাটিয়ে ফেলেছেন এই বৃদ্ধ দম্পতি।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
পুরীর রথ এবার রঘুনাথপুরে, থিমে মন কাড়ছে আপার বেনিয়াসোলের দুর্গাপুজো মণ্ডপ
আরও দেখুন

রঞ্জন চন্দ

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Women's Day 2025: সকাল থেকে নিজে না খেয়ে 'ওদের' জন্য রান্না করেন! সন্তান-হারা এই মায়ের কাহিনি অবাক করবে
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল