ঘরের সমস্ত আসবাবপত্র বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম রান্নার উপকরণ ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। রাতেই শান্তিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ জমা করলেও সকালে দ্বিতীয়বারের ডাকে এসে পৌঁছায় পুলিশ যাবতীয় প্রমাণ দেখে আত্মীয়-স্বজন এবং প্রতিবেশীদের কথা শুনে ছোট ছেলেকে শেষবারের মত সুযোগ দেন পুলিশ প্রশাসন, কিন্তু মুখের কথায় কাজ না হওয়ায়, তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
advertisement
আরও পড়ুন: ফলন বারো মাস, লাভও প্রচুর! ভিয়েতনামি এই কাঁঠাল চাষ করে তাক লাগাচ্ছেন ইঞ্জিনিয়ার ছাত্র
চরম অমানবিক এবং সামাজিক অবক্ষয়ের ছবি নদিয়ার শান্তিপুরের পৌরসভার সূত্রাগর ১০ নম্বর ওয়ার্ডের খুদে কালিতলায়। সেখানকার বাসিন্দা নব কুমার বিশ্বাস একসময় তাঁতের কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তবে পরবর্তীতে ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে তিনি ভিক্ষাবৃত্তি বেছে নেন বৃন্দাবনে। তবে স্ত্রীর ভবিষ্যতের কথা ভেবে খুঁজে কালীতলার এক কাঠা, ভিটে তার নামে করে দেন ছেলেদেরকে থাকার অধিকার দিয়েছিলেন যদিও বড় ছেলে বাবলু বিশ্বাস পাড়ার ওপর প্রান্তে নিজে বাড়ি করে তার পরিবার নিয়ে থাকে ছোট ভাই অবিবাহিত রাজা অবশ্য তার কাছে খায় কিন্তু থাকে তাদের পৈত্রিক অর্থাৎ মায়ের ঘরের পাশের ঘরে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
মা কাঞ্চন বিশ্বাসের অভিযোগ ছোট এবং বড় দুই ছেলেই মিলিতভাবে বসত ভিটে ছেড়ে দেওয়ার জন্য তার উপর নানা রকম শারীরিক নিগ্রহ চালায়। প্রতিনিয়ত তাই বাধ্য হয়েই আত্মীয়-স্বজনের শরণাপন্ন হয়েছিলেন তারা স্থানীয় কাউন্সিলর সহ পাড়া প্রতিবেশী সকলকেই জানান। তবে একান্তই পারিবারিক বলে অনেকেই ঝামেলা ঝঞ্ঝাটে জড়াতে চাননি। সম্প্রতি স্বামী পক্ষঘাতে গুরুতর অসুস্থ তাই তাকে নিয়ে গতকাল বাড়িতে ঢুকতে গেলে ছেলেদের হাতে মার খেতে হয়েছে কেটে দেওয়া হয়েছে ইলেকট্রিকের সংযোগ। শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়ে রাতেই শান্তিপুর থানায় অভিযোগ করেছিলেন তিনি।
তবে সকালে পুলিশ এসে, ইলেকট্রিক সংযোগ জুড়ে দেওয়ার কথা বলে ছোট ছেলে রাজা বিশ্বাসকে এবং মা-বাবাকে নিয়ে ভাল থাকার পরামর্শ দেয় কিন্তু তা না মানলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। বিশেষ সূত্র অনুযায়ী জানা গেছে, তাকে রানাঘাট কোর্টে পাঠানো হয়েছে বিচারের জন্য। বর্তমানে ওই দম্পতি এখন তাদের নিজেদের বাড়িতেই রয়েছেন। তবে আতঙ্কিত বোধ করছেন ছেলের মৃত্যু হুমকি কারণ সে যাওয়ার সময় বলে গেছে জেল খেটে এসে খুন করবে মা বাবাকে।
Mainak Debnath





