এই মণ্ডপে আপনি কামারপুকুরের প্রতিটি স্মৃতিচিহ্ন, প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দেখতে পাবেন। হাঁসুতি ঘাস আর রং-তুলির সুনিপুণ ছোঁয়ায় ফুটিয়ে তোলা হবে শ্রী রামকৃষ্ণ এবং মা সারদার জীবনের বিভিন্ন মুহূর্ত। এই মণ্ডপের অন্দরমহলে প্রবেশ করলে আপনি বুঝতেই পারবেন না যে আপনি এগরা শহরে আছেন, নাকি রামকৃষ্ণ জন্মস্থান কামারপুকুরে।
advertisement
কামারপুকুরের সেই শান্ত, পবিত্র পরিবেশ আর রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের স্মৃতি বিজড়িত স্থানগুলো এবার এগরা শহরে জীবন্ত হয়ে উঠবে। ক্লাব পাঞ্চজন্যর শিল্পীরা অত্যন্ত যত্ন সহকারে এই মণ্ডপটি তৈরি করছেন। মণ্ডপ তৈরিতে ব্যবহৃত হচ্ছে হাঁসুতি ঘাস, যা কামারপুকুরের গ্রাম্য পরিবেশ সৃষ্টিতে মণ্ডপে ছাউনিতে ব্যবহৃত হবে।
এছাড়াও, রং-তুলির সাহায্যে ফুটিয়ে তোলা হবে শ্রী রামকৃষ্ণের জন্মস্থান, তার সাধন কুটির, এবং মা সারদার সঙ্গে তার জীবনের নানান ঘটনা। এই মণ্ডপটি এমনভাবে তৈরি করা হচ্ছে যেন প্রতিটি দর্শনার্থী কামারপুকুরের মাটির গন্ধ অনুভব করতে পারেন। মণ্ডপের প্রতিটি কোণায় থাকবে রামকৃষ্ণ পরমহংস এবং মা সারদার জীবন ও আদর্শের ছোঁয়া, যা পুজো দেখতে আসা মানুষদের মনে এক নতুন আধ্যাত্মিক ভাবনার সঞ্চার করবে।
এগরা শহরের এই ক্লাবটি তাদের তৃতীয় বর্ষের পুজোর জন্য ইতিমধ্যেই জোর কদমে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। তাদের এবারের থিম, ‘কামারপুকুর’, স্থানীয় মানুষের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি করেছে। এটি শুধুমাত্র একটি মণ্ডপ নয়, বরং এটি একটি শিল্পকর্ম যা একটি পবিত্র স্থানকে শহরের বুকে তুলে ধরবে।
ক্লাব সদস্যরা দিনরাত এক করে কাজ করছেন যাতে পুজো শুরুর আগেই সমস্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়। এই ধরনের থিম পূজার মাধ্যমে তারা শুধু দর্শকদের আনন্দই দিচ্ছেন না, বরং শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের জীবন এবং তার আদর্শকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরছেন। এটি একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ যা পুজোর ঐতিহ্যকে আধুনিকতার সঙ্গে মিশিয়ে এক নতুন মাত্রা যোগ করছে।
এবারের পুজোয় পাঞ্চজন্য ক্লাবের এই প্রয়াসটি সত্যিই প্রশংসার যোগ্য। যারা পুজোর ভিড়ে কামারপুকুর যেতে পারেননি, তাদের জন্য এটি একটি দারুণ সুযোগ। এগরা শহরের মাঝে কামারপুকুরের এই প্রতিরূপ শুধু একটি মণ্ডপ নয়, এটি ভক্তি আর শিল্পের এক অনন্য মেলবন্ধন।