ভানু বাগ এলাকার পরিচিত তৃণমূল নেতা বলেই স্থানীয় সূত্রের খবর৷ তবে, বাম আমল থেকেই নাকি বারবার একাধিক অভিযোগ উঠে এসেছে এই ভানু বাগের বিরুদ্ধে৷ একাধিক বার করেছেন বাড়ি বদল৷ প্রথমে ১৯৯৫, তারপরে ’৯৮, তারপরে ২০০১৷ একের পর এক বিস্ফোরণ হয়েছে তাঁর অবৈধ বাজি কারখানায়৷ এমনকী, বিস্ফোরণে ভাই বাদল বাগকেও হারাতে হয়েছে তাঁকে৷
advertisement
কিন্তু, ভাইয়ের মৃত্যুর পরেও বন্ধ হয়নি এই বেআইনি কারবার৷ এলাকাবাসীর দাবি, শুধু বাজিই নয়, রীতিমতো ‘বোমা বানানোর ফ্যাক্টরি’ চালায় এই ভানু৷ এখন নয়, ’৯৫ সালেরও আগে থেকে৷ কিন্তু, এতই নাকি তাঁর প্রতিপত্তি যে, বার বার দুর্ঘটনা, বিস্ফোরণের পরেও বন্ধ করা যায়নি তাঁর কারখানা৷ বার বার বাড়ি বদল হয়েছে মাত্র৷ ২০২২ সালে নাকি গ্রেফতারও হয়েছিলেন এই অভিযুক্ত৷ তারপরে ছাড়াও পেয়ে যান৷
গত মঙ্গলবারের বিস্ফোরণের ঘটনার পর থেকেই ফেরার কৃষ্ণপদ ওরফে ভানু বাগ৷ ওড়িশা সীমানা সংলগ্ন গ্রাম হওয়ায়, অভিযুক্ত প্রতিবেশী রাজ্যে পালিয়ে গিয়েছে বলেও মনে করছেন গোয়েন্দারা৷ ভানুর খোঁজে ইতিমধ্যেই ওড়িশায় পৌঁছেছে পুলিশ৷ চার জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদও করা হচ্ছে৷
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওড়িশা সীমানা লাগোয়া ওই এলাকার বেশ কিছু বাড়িতে অনেক দিন ধরেই বেআইনি বাজি কারখানা চলছিল। এ নিয়ে পুলিশে একাধিকবার অভিযোগ জানিয়েও কাজ হয়নি। এ দিন ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর পরই পুলিশ কর্মীদের ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন গ্রামবাসী।
গত মঙ্গলবার সকাল এগারোটা নাগাদ কৃষ্ণপদ ওরফে ভানু বাগের বাড়িতে এই ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে৷ বিস্ফোরণের জেরে গোটা বাড়িটি উড়ে যায়৷ ওই বাড়ির চারপাশেই ছড়িয়ে ছিঁটিয়ে পড়েছিলেন মৃত এবং আহতরা৷ পাশের পুকুর থেকে উদ্ধার হয় ঝলসানো দেহ৷
ইতিমধ্যেই, এই ঘটনার তদন্তভার সিআইডি-কে দেওয়া হয়েছে৷ যদিও বিরোধীরা এনআইএ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও জানিয়েছেন, এনআইএ তদন্তে রাজ্য সরকারের আপত্তি নেই৷