পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলার মুণ্ডুমারি এলাকার মাটি এঁটেল প্রকৃতির। এই মাটিতে ধান বা অন্য সবজি ছাড়া কোনও চাষ হতেই পারে না। এ ধারণাই ছিল কৃষকদের। তবে ধারণা বদলেছেন পিংলার গোগ্রামের বাসিন্দা সুব্রত মহেশ। সাত বছর ধরে এঁটেল মাটিতেই সফলভাবে স্ট্রবেরি চাষ করছেন তিনি। শুধু তাই নয়, কুড়ি থেকে পঁচিশজনের কর্মসংস্থানও করে দিয়েছেন ওই কৃষক। পাশে পেয়েছেন রাজ্য সরকারকে।
advertisement
পিংলায় স্ট্রবেরি চাষ
-------------------------
- ১০ বছর আগে বিভিন্ন পত্রপত্রিকা দেখে স্ট্রবেরি চাষ শুরু করেন সুব্রত মহেশ
- ঝুঁকি থাকলেও জৈব পদ্ধতিতে স্ট্রবেরি চাষ করা শুরু করেন তিনি
- ধীরে ধীরে সফল হতেই কৃষি ও উদ্যান পালন দফতরের নজরে পড়ে
- এখন আধুনিক পদ্ধতিতে গ্রিন হাউস তৈরি করে স্ট্রবেরি চাষ করছেন কৃষক সুব্রত মহেশ
- মাটি তীর্থ অনুষ্ঠানে কৃষি রত্ন পুরস্কার পেয়েছেন তিনি
পিংলার স্ট্রবেরি কলকাতা, দিঘা সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় রফতানি হয়। এখন সবং, ডেবরা, নারায়ণগড়, দাঁতন, মোহনপুর ও ঝাড়গ্রামেও অনেক কৃষক স্ট্রবেরি চাষ শুরু করেছেন। কৃষকদের উৎসাহ দেওয়া শুরু করেছে উদ্যান পালন দফতরও। লাভজনক এই চাষে কর্মসংস্থানের সুযোগ দেখে পরে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পেও স্ট্রবেরি চাষের পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।
পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম মিলিয়ে প্রায় ৩৭ একর জমিতে এই মুহূর্তে স্ট্রবেরি চাষে নিযুক্ত আছেন পাঁচশোর বেশি কর্মী ও কৃষক। প্রযুক্তি, পরামর্শ ও আর্থিক দিক থেকে সবরকম সহযোগিতা করছে রাজ্য সরকার।