নতুন বছরকে বরণ করে নিতে মিষ্টি দোকানে দোকানে নতুন মিষ্টি তৈরির ধুম। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই স্থান পেয়েছে নানান ধরণের সুগার ফ্রি মিষ্টি। উৎসব অনুষ্ঠানে মিষ্টিমুখ ছাড়া বাঙালির চলে না। কিন্তু বর্তমানে স্বাস্থ্য সচেতনতায় অনেকেই মিষ্টি খাওয়া তো দূরের কথা মিষ্টির নাম শুনলে শত হাত দূরে চলে যায়।
ট্রেনে উঠতেন, ঘুমিয়ে পড়তেন, যখন নামতেন তখন ‘ধনী’ এই যাত্রী! GRP ধরতেই ফাঁস বিশেষ কৌশল!
advertisement
তরুণী প্রেমে পড়েছিলেন অঙ্কের শিক্ষকের, বিয়ের আগেই এল ‘প্রেমের ফল’! যা হল…কান্নায় ভেঙে পড়ল পরিবার
কারণ মিষ্টি মানেই ডায়াবেটিসের চিন্তা, মিষ্টি মানেই ওজন বাড়ার চিন্তা। ফলে আধুনিক এই হেলথ কনশাসের যুগে মিষ্টি ক্রমশ ব্যাকডেটেড হয়ে উঠেছে। তবে এই হেলথ কনসাশের যুগে মিষ্টি আর ব্যাকডেটেড নয়। বরং মিষ্টি বিক্রেতা বা মিষ্টির প্রস্তুতকারকেরাও নিজেদের আপডেট করেছে। তাই বাজারে বিভিন্ন মিষ্টি দোকানে সুগার ফ্রি মিষ্টির রমরমা।পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক থেকে মেচেদা, হলদিয়া থেকে কাঁথি সর্বত্রই নামিদামি মিষ্টি দোকানে নববর্ষের মিষ্টি মুখে স্বাস্থ্য সচেতনতার ছবি ফুটে উঠল। দোকানে দোকানে সুগার ফ্রি মিষ্টির তৈরির ধুম।
এ বিষয়ে তমলুকের এক নামি মিষ্টি দোকানের মালিক জানান, ‘বিভিন্ন ধরণের ১০০ শতাংশ সুগার ফ্রি মিষ্টি রয়েছে। সরভাজা থেকে মালাই চমচম, কাঁচা আমের রসগোল্লা থেকে সরপুরিয়া সহ নানান ধরনের মিষ্টি ১০০ শতাংশ সুগার ফ্রি। আর এইসব মিষ্টি বিক্রি হচ্ছে প্রচুর পরিমাণে।’ তমলুকের বিভিন্ন মিষ্টি দোকানে স্বাস্থ্য সচেতনতাই সুগার ফ্রি মিষ্টির চাহিদা বেড়েছে। এই চাহিদা পূরণ করতে শহরের ছোট – বড় সমস্ত মিষ্টি দোকানদাররা নববর্ষের মিষ্টি মানেই সুগার ফ্রি মিষ্টি তৈরিতে ব্যস্ত।
দোকানে মিষ্টি কিনতে আসা এক ক্রেতা জানান, ‘ নববর্ষে মিষ্টিমুখ থেকে বঞ্চিত হওয়ার কোনও জায়গা নেই। এখন সব দোকানেই সব ধরনের মিষ্টি তৈরি হচ্ছে ১০০ শতাংশ সুগার ফ্রি। ফলে নববর্ষের মিষ্টি মুখ চলবে স্বাস্থ্য সচেতনতায়।’ রাত পোহালেই পয়লা বৈশাখ। তার আগে তমলুক জুড়ে বিভিন্ন দোকানে সুগার ফ্রি মিষ্টি তৈরির ব্যস্ততা চোখে পড়ার মতো।
সৈকত শী