অভিযোগ, প্রায় দশমাস আগে মারা গিয়েছেন এগরা পৌরসভা পরিচালিত একটি স্কুলের শিক্ষিকা। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেই মৃত শিক্ষিকার নামে তোলা হচ্ছে বেতনের টাকা। এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা শহরে। জানা গিয়েছে, এগরা পৌরসভার দু’নম্বর ওয়ার্ডের পৌর প্রশাসন পরিচালিত উলিপুর মেনকা শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষিকা ছিলেন কবিতা পঞ্চাধ্যায়ী। ২৪ সালের ১৫ অক্টোবর শারীরিক অসুস্থতার কারণে মারা গিয়েছেন। কিন্তু তারপরেও টানা ১০ মাস তার নামে বেতন উঠেছে।
advertisement
গোটা ঘটনায় এগরা শহরে রাজনৈতিক চাপানোতর শুরু হয়েছে। যদিও এই ঘটনায় ওই শিক্ষিকার পরিবারের দাবি, “শারীরিক অসুস্থতার কারণে কবিতা পঞ্চাধ্যায়ী প্রায় দশ মাস আগে মারা গিয়েছেন। তাঁর নামে বেতনের টাকা তোলা হচ্ছে এমন কিছুই আমরা জানি না।” এই ঘটনা নিয়ে এগরা পুরসভার চেয়ারম্যান স্বপন নায়ক বলেন, “এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। অভিযোগকারী না জেনেই অভিযোগ করেছেন। প্রতিবছর অডিট রিপোর্ট করা হয় এবং তা জমা দেওয়ার পরেই টাকা বরাদ্দ হয়।”
মৃত ওই স্কুল শিক্ষিকার নামে এখনও পর্যন্ত তার নামে বেতন তোলা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে ইতিমধ্যে এগরা মহকুমা শাসকের দ্বারস্থ হয়েছেন এগরা পৌরসভার দু’নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা দেবব্রত গ্রহরাজ। অভিযোগ পত্রে তিনি জানিয়েছেন, মৃত শিক্ষিকার নাম করে এখনও বেতন তোলা হচ্ছে। তাঁর নাম এখনও পর্যন্ত বাদ দেওয়া হয়নি।
এই ঘটনার সঙ্গে কারা কারা জড়িত তা নিয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবী জানিয়েছেন দেবব্রত। মৃত শিক্ষিকার মৃত্যুর প্রমাণ হিসেবে ডেথ সার্টিফিকেট জমা দেওয়া হয়েছে অভিযোগ পত্রে। মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। মৃত শিক্ষিকার নামে বেতন তোলার ঘটনায় শাসক দলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধীরা।