TRENDING:

Kali Puja 2025: 'কালীক্ষেত্র' পূর্ব মেদিনীপুরের ৪০০ বছরের পুরনো কালীপুজো, জানুন অবাক করা ইতিহাস

Last Updated:

তমলুকের পিপুলবেড়িয়া গ্রামের ভট্টাচার্য পরিবারের কালী মন্দির। প্রায় ৪০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে পূজিতা হয়ে আসছে তমলুকের পিপুলবেড়িয়া গ্রামের ভট্টাচার্য পরিবারের কালীপুজো। এই কালীপুজোর প্রধান রীতিনীতি হল, নিজেদের পূর্বপুরুষের লিখে যাওয়া মন্ত্রে পূজিতা হন দেবী।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
তমলুক, সৈকত শী: পূর্ব মেদিনীপুর জেলাকে ‘কালীক্ষেত্র’ বলা হয়। জেলার সদর শহর তমলুকে অধিষ্ঠাত্রী দেবী বর্গভীমা। পুরাণে বর্ণিত ৫১ সতীপিঠের একপিঠ রয়েছে এখানে। এছাড়াও জেলার প্রতিটি কোণায় রয়েছে অজস্র প্রাচীন কালী মন্দির। যেসব মন্দিরের ইতিহাস ও পুজো শুরু হওয়ার কাহিনী যেমন চমকপ্রদ, তেমনই পুজোর রীতিনীতিও অভিনব। সেরকমই একটি কালী মন্দির হল তমলুকের পিপুলবেড়িয়া গ্রামের ভট্টাচার্য পরিবারের কালী মন্দির। প্রায় ৪০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে পূজিতা হয়ে আসছে তমলুকের পিপুলবেড়িয়া গ্রামের ভট্টাচার্য পরিবারের কালীপুজো। এই কালীপুজোর প্রধান রীতিনীতি হল, নিজেদের পূর্বপুরুষের লিখে যাওয়া মন্ত্রে পূজিতা হন দেবী।
advertisement

পুজোর কারণে বলি প্রথা আজও বর্তমান। পুজো হয় ষোড়শ উপাচার মেনে। অমাবস্যার রাতে মা’কে অলঙ্কারে সাজিয়ে শুরু হয় পুজো। সূর্য ওঠার আগেই পুজো সমাপন হয় প্রাচীন রীতি মেনে এবং দেবীর বিসর্জন হয়ে যায়। পুজোর রাতে ২১ সের চালের ভোগ না দিলে পুজো সম্পন্ন হয় না। ভোগ রান্নার জন্য ব্যবহৃত হয় কালী পুকুরের জল। ভট্টাচার্য পরিবারের এই পুজোর অপর একটি বৈশিষ্ট্য হল, মায়ের পুজোর ঘটে থাকে পঞ্চপল্লব। ঘটে থাকে আম পাতা সঙ্গে দেবীর অষ্টধাতুর মূর্তি।  একবার পুজোয় ব্যয়ভার বহন করতে সক্ষম না হওয়ায় পুজো বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই রাতেই দেবীর স্বপ্নাদেশ দেন এবং সে বছরও পুজো হয়। তারপর পুজো বন্ধের কথা ভাবা হয়নি।

advertisement

আরও পড়ুন: বংশপরম্পরার পেশা, দিকে দিকে ব্যাপক চাহিদা! যেভাবে আয় করছেন নদিয়ার ব্যবসায়ী, ট্রাই করলে লাভের মুখ দেখতে পারেন আপনিও

View More

পরিবারের বর্তমান সদস্য মানিক লাল ভট্টাচার্য জানান, “বর্তমানে পরিবার ভাগ হয়েছে। তিনটি পরিবার মিলে পুজো হয়। পুরনো রীতিনীতি মেনেই পুজো হয়। মায়ের মূর্তি এখানে দক্ষিণা কালী। কিন্তু পুজো হয় তান্ত্রিক মতে রক্ষাকালীর। পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে নানা ইতিহাস। পূর্বপুরুষ নারায়ণ ভট্টাচার্য এই পুজো প্রচলন করেছিলেন। তিনি এই এলাকায় টোল চালাতেন। দীপান্বিতা আমাবস্যা তিথিতে কালীপুজো হলেও সারা বছর ধরেই অষ্টধাতুর গড়া দেবীর যন্ত্র পুজো হয়। পুজোর জন্য তাল পাতার পুঁথিতে মন্ত্র লিখে গিয়েছিলেন পূর্বপুরুষেরা সেই মন্ত্রে আজও পূজা হয়।”

advertisement

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
স্বাধীনতা আন্দোলনের গোপন ঘাঁটি ছিল এই কালীমন্দির! দেখে আসুন নিজের চোখেই
আরও দেখুন

পরিবারের সদস্যদের কথায় জানা যায়, ভট্টাচার্য পরিবারের কালীপুজোর জন্য দেবীর মন্দিরে রয়েছে পঞ্চমুণ্ডির আসন। এই পঞ্চমুণ্ডির আসন প্রতিদিন পুজো হয়। তমলুকের ভট্টাচার্য পরিবারের এই প্রাচীন কালীপুজো প্রতিবছর প্রাচীন রীতিনীতি ও নিয়ম নিষ্ঠা মেনে হয়ে আসছে বর্তমানে। পুজো দেখতে সমাগম হয় প্রচুর পরিমাণ ভক্তের। এই পুজোর অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল প্রতিমা বিসর্জন। প্রতিমা বিসর্জনের সময় রাস্তার সামনে কেউ থাকে না। প্রতিমা বিসর্জনের পরেই দেবী মাকে দেওয়া ভোগ পরিবারের সদস্য ও অন্যান্যদের দেওয়া হয়। সবমিলিয়ে ভট্টাচার্য পরিবারের প্রাচীন এই কালীপুজো এক ইতিহাসের সাক্ষ্মী।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Kali Puja 2025: 'কালীক্ষেত্র' পূর্ব মেদিনীপুরের ৪০০ বছরের পুরনো কালীপুজো, জানুন অবাক করা ইতিহাস
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল