ধীরে ধীরে তিনি হয়ে উঠেছেন এলাকার এক অনুপ্রেরণা। অনিতার মেহেন্দি তৈরির গল্প শুরু হয় ইউটিউব দেখে। প্রথমে বিভিন্ন ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম থেকে মেহেন্দি তৈরির সামগ্রী অর্ডার করতেন তিনি। বাড়িতে বসেই শুরু করেন পরীক্ষা-নিরীক্ষা। কখনও রং ঠিক হচ্ছে না, কখনও ঘনত্ব ঠিক থাকছে না। তবু হাল ছাড়েননি। বারবার চেষ্টা করেছেন। ধীরে ধীরে রপ্ত করেন মেহেন্দি তৈরির কৌশল। সম্পূর্ণ অর্গানিক উপায়ে মেহেন্দি তৈরি করতে শেখেন তিনি। কেমিক্যালমুক্ত হওয়ায় এই মেহেন্দির রং গাঢ় হয় এবং ত্বকের ক্ষতিও কম। বাড়িতে তৈরি অর্গানিক মেহেন্দি গ্রাহকদের আস্থা বাড়িয়ে তোলে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ একঢিলে দুই পাখি! সুন্দরবনে এল ম্যানগ্রোভ রোপন মরশুম, প্রকৃতি বাঁচিয়ে বিকল্প জীবিকা উপকূলবাসীর
শুরুর দিকে অনিতার তৈরি মেহেন্দি কিনতেন তাঁর বন্ধুরা ও বাড়ির আশেপাশের লোকজন। কেউ কেউ আবার তাঁর কাছ থেকে হাতে মেহেন্দি ডিজাইনও করিয়ে নিতেন। অনিতা অসাধারণ সব ডিজাইনের মেহেন্দি করতে পারেন। সাধারণ নকশা থেকে শুরু করে আধুনিক ব্রাইডাল ডিজাইনেও তিনি দক্ষ। মুখে মুখেই তাঁর কাজের সুনাম ছড়িয়ে পড়ে। এরপর তিনি অনলাইনের দিকে পা বাড়ান। বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া ও ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে নিজের মেহেন্দি বিক্রি শুরু করেন। অল্প সময়ের মধ্যেই সাড়া মেলে ভাল। এখন সারা ভারতবর্ষ থেকেই তাঁর কাছে অর্ডার আসে।
বর্তমানে অনিতা বেগম মেহেন্দি তৈরি করেই নিজের দৈনন্দিন খরচ চালাতে সক্ষম। বাড়ির অন্যান্য কাজের পাশাপাশি তিনি মেহেন্দি তৈরি করেই নিজের খরচ চালাচ্ছেন। তাঁর এই সাফল্য এলাকায় অনেক মেয়ের অনুপ্রেরণা।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
অনিতা প্রমাণ করেছেন, ইচ্ছাশক্তি আর পরিশ্রম থাকলে ছোট উদ্যোগ থেকেও বড় কিছু গড়ে তোলা যায়। যে মেহেন্দি সাধারণত হাতের সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য ব্যবহার হয়, সেই মেহেন্দি তৈরি করেই তিনি নিজের ভবিষ্যৎ গড়ছেন। অনিতার এই পথচলা শুধু একটি সাফল্যের গল্প নয়, এটি আত্মনির্ভরতার এক জীবন্ত উদাহরণ।





