পাঁশকুড়া আদিবাসী বৃহদায়তন বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের অফিসে এই বৈঠক হয়। উপস্থিত ছিলেন আদিবাসী উন্নয়ন দফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি শ্রীমতী ছোটেন ধেন্দুপ লামা। পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক ইউনিস ঋষিন ইসলাম, আদিবাসী উন্নয়ন কল্যাণ দফতরের জেলা অধিকারী অনিরুদ্ধ নন্দী ও পাঁশকুড়া ব্লকের বিডিও মোহন ভার্মা-সহ অন্যান্যরা।
advertisement
আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষজন ঠিকঠাক পরিষেবা পাচ্ছে কিনা, তা পরিদর্শন করেন। তিনি প্রথমে রঘুনাথ মুর্মু আবাসিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন, পরে রাতুলিয়াতে ল্যাম্পসের অফিসে বিশেষ বৈঠক করেন। উপস্থিত আদিবাসী মহিলারা বলেন রাজ্য সরকারের বিভিন্ন পরিষেবা পেলেও পাট্টা-সহ আরও অনেক পরিষেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে একাধিক সমস্যায় তাদের পড়তে হচ্ছে।
আদিবাসী জনজাতি সম্প্রদায়ের মানুষজনদের সমস্যাগুলির সমাধানের লক্ষ্যে প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি ওই এলাকায় স্পেশাল ক্যাম্প করার নির্দেশ দেন জেলাশাসককে। এ বিষয়ে জেলাশাসক জানান, ‘আমরা আজ আলোচনাতে দেখলাম অনেক ধরনের স্কিম যেমন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার এবং স্বাস্থ্যসাথী কার্ড সবাই পেয়েছেন। কিন্তু পাট্টা, এবং কাস্ট সার্টিফিকেটের ক্ষেত্রে অনেককেই সমস্যায় পড়তে হয়েছে। আমরা খুব দ্রুত এই সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা করব, এলাকার সঙ্গে আলোচনা করব দরকার হলে আমরা স্পেশাল ক্যাম্প করব।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
২০০ জন মহিলা প্রায় বৈঠকে জনজাতি সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের সঙ্গে সমস্যা নিয়ে কথা বলেন প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি। সরেক্ষণের শংসাপত্র এবং জমির পাট্টা নিয়ে একাধিক সমস্যার কথা জানান বৈঠকে উপস্থিত জনজাতি সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা। এ দিন পন্ডিত রঘুনাথ মুর্মু আবাসিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন ছোটেন। সেখানে থাকা ২৬০ জন আবাসিক সঠিক পরিষেবা পাচ্ছেন কিনা, তাও খতিয়ে দেখেন তিনি। জনজাতি সম্প্রদায়ের মানুষের উন্নয়নের জন্য আরও বেশি করে কাজ করতে হবে বলে জানান প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি ছোটেন। ফলে আগামী দিনে জেলা জুড়ে আদিবাসী জনজাতিদের উন্নয়নে বিশেষ কাজ করবে প্রশাসন।





